একখণ্ড কবিতার মেঘ ছুঁয়ে দিতে
পাহাড়ের চুড়ায় উঠলেন কবি,
নেমে যেতে যেতে অকস্মাৎ
একটা পাথর গড়িয়ে পড়লো সমতলে,
ভাবলেন, অনেক তো হলো শব্দ-ছন্দ খেলা
এবার না হয় পাথর-শিল্পী হওয়া যাক।
শুরু হলো পাথরের অকালবোধন:
আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষে তার বুক খোদাই করে
কবি জাগিয়ে তুললো তুমুল অস্থিরতা,
দু চোখের গভীরে এঁকে দিল মায়াবী প্রেম
চন্দন জলে ধুয়ে দিল দেহের মলিনতা
আসন তলে সাজিয়েছিল ফুল, বেলপাতা
শুধু একটা নীল পদ্ম খুঁজে পেল না কোথাও।
পঁচিশ বছর পর পৌষের মেলায় হঠাৎ
সুনীলের সেই বোষ্টুমী এসে বললো:
কবিতার শেষ পংক্তিটায় সুর তোল কবি,
এবার মাঘী পূর্ণিমায় একতারাটাও সঙ্গে নিও।