প্রাণিকুলের এক রহস্যময় পূর্বপুরুষ
শরীরের পশম, হিংস্র নখ, মাংসাশী দাঁত
একের পর এক সযত্নে লুকিয়ে রেখে
মগজের কোষগুলো জ্ঞানের আলোয় পূর্ণ করে
পৃথিবীর পাঠশালায় রেখে গেল
এক অভিশপ্ত উত্তরাধিকার- জন্মান্ধ মানুষ।
সেই মানুষেরা এখন মসৃণ ত্বকে সুগন্ধি মাখে
নখর বিহীন সুনিপুণ হাতে মেহেদি রাঙায়
পরিপাটি দাঁতে ফুটে ওঠে মুক্ত ঝরানো হাসি,
মস্তিস্কে মেধা আর মননের উৎকর্ষ সাধনায়
পৃথিবীর আদিম উৎস থেকে নিজেকে হারায়.....
বনভূমি উজাড় করে গ্রাম, নগর
পাহাড় কেটে লোকালয়, ব্যস্ত জনপদ
জলাশয় ভরাট করে বন্দর, শহর
গড়ে তোলে প্রেমহীন ভোগের সংসার।
প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানুষের অবিরাম যুদ্ধ
দেখতে দেখতে প্রাণিকুলে জেগে ওঠে সংশয়,
অরণ্যের সকল হিংস্র জানোয়ার
পাহাড়ের গর্তে লুকিয়ে থাকা গোখরো সাপ
জলের কুমির, আকাশের উড়ন্ত শকুনের
হিংস্রতার প্রত্যঙ্গগুলো অভিশাপ হ'য়ে
বিদীর্ণ হয় মানুষের মগজে-মননে।
এখন মানুষেরা জানোয়ারের উল্লাসে মেতে ওঠে
গোখরো সাপের মতো বিষধর ফণা তোলে
কুমিরের মতো গিলে খায় আস্ত মানুষ
শকুনের মতো অপরের মৃত্যুর প্রহর গোনে!
আমাদের মসৃণ ত্বক, সুনিপুণ হাত, সুন্দর মুখ
সবকিছুতেই মানুষের অবয়ব,
শুধু মগজের কোষে কোষে বাসা বেঁধেছে
এক নিকষ কালো অন্ধকার - মৌলবাদ।