সূর্যের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করে
একমুঠো বিকেল চেয়েছিলাম,
সে আমায় দুমুঠো রোদ্দুর দিয়ে বললো
এবার বাড়ি যাও সুরঞ্জন!
তারপর কতবার জানালার ফাঁক দিয়ে
পৌষের দুপুরের হাতে চিরকুট দিয়েছি....
ষোড়শী মেঘেরা দলবেঁধে নেমে এসে
রৌদ্রস্নাত উষ্ণতার আলিঙ্গনে ভাসে,
দরোজার চৌকাঠে বিরাম চিহ্ন এঁকে
অস্তাচলের আকাশ, বাতাসের দীর্ঘশ্বাস
পাহাড়ের শিয়রে রাত্রি এনে দেয়।
শুধু একমুঠো বিকেলের জন্য
সারসের ডানায় ভর করে কৃষ্ণপক্ষ
জোছনার চোখে জল, বুকের ভিতর বৃষ্টি,
আঁধারের বুকে নিমজ্জিত কবিতা
অনড় বিশ্বাসে গোনে প্রতীক্ষার প্রহর।
একদিন সকালে সূর্যোদয় না হলে
নিমিষেই নিভে যাবে পৃথিবীর প্রাণ......
দু:সময়ের ফেরিওয়ালা আমি
আড়ি পেতে শুনি নক্ষত্রের সংলাপ,
কোন এক শুক্ল পক্ষের হাটে
দুমুঠো রোদ্দুর কেনা-বেচা হবে
একমুঠো বিকেলের দামে।