হিমের পরশে ঝরা শরতের শিউলি
ঘাসের ওপর শুয়ে –নিরিবিলি কান পেতে -
ঘুম ভাঙ্গা শহরের গান শুনে ।
আকাশে অসীম নীল , পাখিদের কিলবিল
সাদা মেঘ ছুটাছুটি ,পাহাড়ের লালমাটি
পাথরের গা ঘেঁষে অনন্ত আকাশে মিশে
কুয়াশা ধুয়োময় , রোদ্দুর করে ভয়
মাটিকে ছুঁতে চায় ,ভেজা ভেজা পায় পায় ।
অজস্র তুষারকণা প্রভাতের প্রহরী
মুক্তা ছড়ালো যেন কোনো এক জহুরি
অভিমানে দিনমণি তারাদের সাথে
রাগমাখা অভিযোগ চাঁদ হয়ে রাতে।
আমি যে আলোর রাজা , ঠিক তা মানতে
আমার প্রতাপ কত, তুমি তা জানতে
তবে কেনো শিশিরের কণা এতো হাসে
দিব্যি ছড়ানো থাকে মাঠে আর ঘাসে
কুয়াশায় ঘাসে - মাঠে এতো মাখামাখি
ভেবে না পাই কী করে যে মাটিতে পা রাখি
কাশবনে কানাকানি জোনাকির সাথে
একঝাঁক তারাদের ঘুমভাঙ্গা রাতে
বিচারের সভা হলো তারাদের মাঝে
সব শুনে শরতের চোখ নত লাজে ।
লাজুক গোলাপি ঠোঁটে দিঘীতে পদ্ম ফুটে
শান্ত গভীর জলে আগমনী সুর তোলে,
মাঝি ফিরে ঘরে -
রূপের বাহারে রবি জ্বলে পুড়ে মরে ।