বৃষ্টি হয়ে ফিরে আয় ,
ছুঁয়ে দেখ-
জানালায় নরম হাতের ছাপ ।  
নীরবে , তৃপ্ত চোখ বন্ধ হয়েছে আজ !

বাড়ির সীমানায় আম, কাঁঠাল, নিম –
গাছের ছায়া
কি জানি কি মায়ায় ! ,
অনাবিল দায়িত্বের পাহাড় মাথায় নিত।

টিনের ডিব্বা , এক মুঠো চাল –
কাঁপা কাঁপা হাত,-
ভিখারির ঝুলা ভরে দিত ।

ফিরে আয় , চেয়ে দেখ –
জং ধরা ডিব্বায় কোমল হাতের ছাপ
আজও বারান্দায় বসে থাকে
পথিকের পদধূলির অপেক্ষায় ।

ছন ছন চুড়ির আওয়াজ, ঝাড়ুর শব্দ
ঘুম ভাঙ্গা সকাল সেজে গুজে, চড়ুই পাখি-
উঠান জুড়ে এক্কা দুক্কা খেলে
জোড়া-শালিক শুকনো ঘাসে ঠোঁটের খোঁচায় ধুলো উড়ায় ।

  

থালা ভর্তি আমসত্ত্ব, অফুরন্ত তৃপ্তির স্বাদ
বারান্দায় রোদে রঙ পাল্টায়
বেলাশেষে গোয়াল ঘরের দরজা এঁটে
সব পাখিরাই নীড়ে ফিরে যায় ।

পিঁড়ি পেতে ভাত বেড়ে দিত ,- ভাতের উপর হাতের ছাপ !
থালা, বাটি, হাতা, পিঁড়ি-
সিঁড়ি বেয়ে নতুন ঠিকানায় ঘর বেঁধেছে আজ ।    

বৃষ্টি হয়ে ফিরে আয় ,
চেয়ে দেখ –
কাগজের নৌকা সেই কবে থেকেই -
শুকনো বালির উষ্ণতায় চাপা পরে আছে ।
ছুঁয়ে দেখ –
বুকের আগুন সেই হাত আজও পোড়াতে পারেনি !