অন্ধকারের শব্দের মতো, ঘন কালো কত হাত চুপিসারে
করে কচি পাতার মতো শত আলোকবর্তিকাকে নির্বাপিত;
যেন তামাকের গন্ধের মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে, নির্বাচন ক'রে
নতুন শিকার, কোনো শ্বাপদ নিজ স্বার্থকে করে সমুত্থিত।
বাবুইয়ের ঠোঁটের মতো আঁকা ছবিতে, কালিমা লেপন
ক'রে পিশাচের হাড়ের মতন দাঁড়কাক, তার অন্তরের
ধারালো নখরে কুঁড়ে খায় সত্য-গন্ধ ভরা ফসল যখন;
কাজলরেখা মেঘের মতো নিয়তি, দেয়নি ছুটি আমাদের।।
ইশকুলের ঘন্টাধ্বনির মতো, ভাগ্যের শেষ প্রান্তে অবকাশ
পাবো কি ফিরে দেখার? সে প্রশ্ন দৃষ্টির স্বচ্ছতার মতো, উবে
যেতে চায় না আজো, যদিও গাঙচিলের মতো আশায়
বাঁচি; আমরা আঁধার পথের মতন বদ্ধ ভাঙা কুঠুরিতে,
পিঁপড়ের মতো প'ড়ে আছি, তিমিরের ভয়ে! তপ্ত নিঃশ্বাস
যেন স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষায় থেকে গায়; কলুষতা লীন হবে
অঙ্গার পাতার মতো; বেহালার তান যেন প্রেরণা জোগায়
ব্যাথার মতো; ফুলকী হতে জ্বালাইতে শান্তি ব্যর্থ নগরীতে।।
এই সময় তো নয় চাতকের মতো অপেক্ষমান থাকার;
কালো গর্তের বন্দীত্ব শেষ ক'রে দিতে হবে নবীন ফুলের
সুগন্ধের মতো মিশে গিয়ে চারিদিকে; কালের সাথে আবার
বাঁধতে হবে নতুন সেতু, ঝুলির সাথে যেন মাধুকরীর
বিচ্ছেদহীন বাঁধন। এখনো সংকেত; ঘন্টাধ্বনি বাজে
জাগাতে জনতাকে; আধোছেঁড়া তার যেন ব্যস্ত তার শেষ কাজে।।
রচনাকাল : ২৮/১০/১৯৯৭ খ্রি: