খোকন সোনা বায়ন ধরে
চকলেট তার চাই-ই চাই
মায়ের বারণ শুনলে পরে
জেদ বেড়ে যায় ছাই।
খোকন সোনা আজ একটু বড়
ইস্কুলেতে যায়
দস্যিপনায় সব জড়সড়
টেকাই বড় দ্বায়।
বাড়ি ফিরলে মা যখন তার
ব্যাগটি মেলে ধরে
চোখ জোড়া তার ছানাবড়া
চেয়ারে ধ্বসে পড়ে।
রোজ রোজ সে কারো না কারো
কিছু না কিছু আনবেই চুরি করে
হাজার কাটো হাজার মারো
ভুলে যায় সব পরে।
খোকন সোনা যখন আর একটু বড়
কলেজ পাড়ায় যায়
সিগারেট তার ঠোঁটের কোণায়
দিব্যি শোভা পায়।
পড়াশোনা শিকে তুলে সে
স্বপ্নের জগৎ খোঁজে
হাওয়ায় ভাসায় দিনগুলো যে
আপন মহিমাতে।
মা যে তার ভেবেই সারা
সকাল সন্ধ্যা বেলা
খোকন যে তার দস্যিহারা
জীবনে সবই করছে হেলা।
ছোট্ট থেকে আজতক সব
বাবার কাছে তার রেখেছে লুকিয়ে
আর কতকাল এমনি তরে
রাখবে ছাপিয়ে।
একদিন হঠাৎ মাঝ রাত্যিরে
বেজে ওঠে ফোন আচমকায়
মায়ের বুক কেঁপে কেঁপে ওঠে
অজানা শত আশংকায়।
আজ খোকন সোনা শান্ত পাছে
নিশ্চুপ শুয়ে আছে
মা যে তার মাথার কাছে
চুপটি বসে আছে।
আতর চন্দন গোলাপ মেখে
মায়ের ছোট্ট খোকন সোনা
যাচ্ছে আজ অচিন দেশে
ফিরবে না আর ফিরবে না।