সে নেই।অথচ এ খবরটি আজো কেউ জানেনা!
            তার সামান্য জীবনের গল্প-
           বলার মতো আজ কেউ নেই।
   কোন প্রেয়সী কাঁদবে না তার মৃত্যুর খবরে,
মৃত্যুর খবরটি কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল পৌঁছে
            দিবে না দেশবাসীর কাছে।

                       সে কে?
              সে এক সামান্য কবি।
  কবিতার মাঝে সে জীবনকে খুঁজে নিতো;
ঝাউবনের শনশন শব্দ শুনে,ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি দেখে,মেঘ কিংবা রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা দেখে,নদীর কল্লোল ধ্বনি শুনে- একটির পর একটি
            কবিতা রচনা করে যেত।

   কৈশোর,যৌবন,পৌঢ়ত্বের চৌহদ্দি পেরিয়ে
        আজ পৌঁছে গেছে স্তব্ধতার মাঝে।
         সকলকে ভুলে গিয়ে ভাবছে-
  কোনদিন কবিতা পড়ে পাঠক তার খোঁজ নিবে।
তার স্থায়ী বাসভবনের পাশে বসে কবিতাগুলো
         বারবার আবৃত্তি করে শুনাবে।

সে নেই,আবার সে আছে!কবিতার মাঝে আজও তার বেঁচে থাকা।স্তব্ধতার মধ্যে বসে নি:শব্দে চলে
       কবিতা দিয়ে পাঠককে কাছে ডাকা।