যে ব্যথা ভুলে প্রস্থান এসেছে— দ্বারে
শামুকের হৃদয়কে করেছে ক্ষত-বিক্ষত;
কেবল সে—ই বলতে পারবে
কেন— এই শতাব্দির নক্ষত্র গুলো ম’রে গেছে!
অলকানন্দা’য় দগ্ধ হয়েছে যে পথিক
ত্রিকোণ আলোয় তাহারে খোঁজো না’ক তুমি;
প্রাচীর ভেদে যে না’ভী ছেদ হয়েছে
তাহার ন’গ্ন যন্ত্রণা কার বা কী আসে যায়— কামিনী?
ভূ-পৃষ্টে যে প্রেম বকফুল হয়ে ফোঁটে
তাহার হৃদয় আমারও মতো কেন কেঁদেছে?
পাণ্ডুর চাঁদ যখন অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নেয়
তখন আমারও জানতে ইচ্ছে করে— অনন্ত মৃত্যু কেন?
চরভরা নদীর বাঁ-বুকে আমি শুয়ে থাকবো— হেমন্তের ঘ্রাণে
কোনদিন জাগেবো না জেনেও প্রহর গুণবো
কোনদিন যদি তুমি ব্যথা ভুলে প্রস্থান হয়ে আসো— দ্বারে।
কেন— এই শতাব্দির নক্ষত্র গুলো ম’রে গেছে
কেবল সে—ই বলতে পারবে
কেন এই শতাব্দিতে প্রেম নেই।