কোন আইনজীবী পিটিশন দিয়ে কী বলবে—
বিজ্ঞ আদালত— একটি স্বাধীন রাষ্ট্র,
কীভাবে পারে গণহারে ‘হাতকড়া’ পড়াতে?
না—সে কাউকে খুন করেছে? না—সে খুনের হুকুম দিয়েছে;
কিংবা— ঘটনাস্থলে ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি?
যদি আমরা সহস্রকালের ইতিহাস দেখি—
তাহলে দেখবো যুগযুগ ধরে ‘হাতকড়া’ ছিল তেঁতুলিয়ায়;
অথচ— ঘটনা নাকি টেকনাফ! বাদীপক্ষ তাই পেশ করেছে!
আমার আফসোস হচ্ছে—
কেউ ন্যায় বিচারের জন্য সাহায্য চাইলো; আর
অমনি ‘মাৎস্যন্যায়’ হয়ে ‘হাতকড়া’ কে জনগণের হাতে তুলে দিলো?
একটুও জাস্টিস করা হলো না? একটু ইনভেস্টিগেশন করা যেত না?
আপদমস্তক যেন— অভিযোগ করা মানেই অপরাধী কাঠগড়ায়?
জানি— আমার বাদীপক্ষ বলবেন,
উনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে?
আমার প্রশ্ন— অভিযোগ মানেই কী আটক?
এজলাস ছাড়া মক্কেল বা প্রজন্মকে কখনো জানতে দেয়া হয় না—
অভিযোগকারী কিংবা অভিযোগ সম্পর্কে? অথবা আত্মপক্ষ সমর্থন?
দেখুন জজসাহেব, কি করুণভাবে ‘হাতকড়া’ দাঁড়িয়ে আছে!
যেন— তার জন্মই হয়েছে ‘হাতকড়া’ পড়ে?
এখন আমার মহাকালের জিজ্ঞাসা—
মহামান্য আদালত, সহস্রাব্দ ধরে বিনা বিচারে কেন বন্দি?
কোন আইনে সে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী?
গণগ্রেফতার করে কেউ কী পারে এমন করতে?
মান্যবর— এটা তো মানবতাবিরোধী অপরাধ?
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে, আমরা এই অন্যায় সহ্য করতে পারি না!
মতের পক্ষে হোক কিংবা বিপক্ষে—
এভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, ঘটনার সাক্ষি; কিংবা
দালিলিক প্রমাণ ছাড়া ‘হাতকড়া’র নামে
বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদতে দেয়া যায় না!
আমার মক্কেল উচ্চবংশীয় কিংবা নিচুজাত হিসেবে নয়—
একটি গণতান্ত্রিক নাগরিক হিসেবে আইনি অধিকার দেয়া হোক!
—আপেল আকবর
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪