প্রত‌্যেহ্ নিশিরাত আমার নির্ঘুম কাটে
স্বার্থপরের মতন স্বার্থনেশি কথোপকথনে
আড়াআড়ি ভাবে বসে নয়, দু জন মুখোমুখি হয়ে।
আজ আমি দীর্ঘ আলোচনায় বসেছি-
যাকে বলা যায়- এসপাড় তো ওসপাড়।
হাতের কাছেই আছে গরম চায়ের কাপ
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের নোট খাতা আর
মনের একগুঁয়েমী ও একতরফা জেদ।
অতঃপর-
তিনি এসেছেন।
তিনি এসে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছেন
আমার মাথার কাছে ই। তবে, মাঝে মাঝে
কথা চলছে প্রসঙ্গহীন আর ভাষাহীন চোখে।
বিমূর্ষ্য মলিন মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে
পরপর দু কাপ চা খেয়েছেন, ঠান্ডা করে।
আমার চোখের সামনে পায়চারী করছেন
এলোপাতারী ভাবে। আমি শংকুচিত ভাবে
বেশ কয়েকবার বলতে চেয়েছি-
আপনি একটু ধর্য্য ধরে বসুন,
এভাবে হাত-পা নাড়লে
আপনার শরীরে ব্যথা আসবে তো!
তিনি আমার কাঁধে হাত রেখে স্ব জোড়ে ঝাঁকি দিয়ে বলেন-
আরে বোকা ছেলে- ‌‌'আ‌‌মি কি তোর ভালো-মন্দ বুঝিনা!'
সেই ঝাঁকিতে প্রত্যেক বারের মতন সংচিত্তের সহসা
আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়্ আমি জেগে ওঠি নিঃসঙ্গতায়।
নির্ঘুম থাকা যে কতটুকু ব্যদনাদায়ক
তা শুধু আমি ই বুঝি নীলাম্বরের ঐ তারাটার গল্পে।
তারপরও আমি তাঁর অপেক্ষায় রজনী পোঁহায়
কারণ-
'তিনি আমার ভালো-মন্দ বুঝেন বলে।'
হে্ পিতা-
আপনার চরণ পঁটে আমার অস্তিত্ব নতো থাকুক
সকল নশ্বর ও অবিনশ্বরের পঁদ চিহ্নে।

আপেল আকবর
৩১-০৮-২০১৩ই