''মিতা না''?
হঠাৎ থেমে নিস্পলক তাকিয়ে
এক গাল হেসে অবাক চোখে পারমিতা বললো-
''ঝন্টু দা ? তুমি? সে কি? কেমন আছো? কবে এলে ?"
''এক নিঃশ্বাসে কি করে উত্তর দি বল?''
দেড় দশক বাদে মফস্বলের রাস্তায়
চেনা গলির মোড়ে সূর্য ডোবার ক্ষণে;
অবাক বিষ্ময়ে কথোপকথন দুই প্রাণে -
হৃদয়ের আলোড়ন যেন অপ্রতিরুদ্ধ।
''তোর চুলগুলো সাদা কেন এত তাড়াতাড়ি'?
চিরাচরিত মিষ্টি হেসে মিতা বললো
''বয়স কি কম হল ''?
''ধুর পাগলী, চল বসি ওই চায়ের দোকানে-
তোর যদি আপত্তি না থাকে''-
গভীর চোখে তাকিয়ে পারমিতা বললো
'নিশ্চই , চলো-- আমার শেকড় এখনো মাটির গভীরে'-
সব নিয়ে গল্প করতে করতে
ওরা যেন ভুলেই গেল ঘড়ির কথা,
ঘাটের কথা, বাটের কথা । ।
বয়েস গেল থেমে -
পারমিতা যেতে চায়নি বিদেশ-
পড়ানোর চাকরি পেয়ে কলকাতায় ,
ঝন্টু ছিল নাছোড়বান্দা বায়ো কেমিস্ট্রি নিয়ে-
সেই শেষ-
ওরা চায় নি সম্পর্ক আর বাড়ুক-
যোগাযোগ ও রাখেনি পাছে দুর্বলতা জুড়ুক-
এর পর জীবন যেমন।
এই অকস্মাৎ দেখা
ফিরিয়ে দিলো দূরভাষের আলাপন-
তারপর?
আপনিও বুনলেন স্বপ্ন জাল,
আমিও সমাপ্তি ঘটালাম
শুভস্ব শীঘ্রম।
ক্ষতি কি?