'পারো রানী, ও পারো রানী',
কানের পাশে আওয়াজ শুনেই শিউরে উঠলাম-
টপ করে হাতে ধরালো একটা চকলেট,
আর সেই তালে তার হাত ছুঁয়ে গেল সঠিক স্থানে।
আমি সিটিয়ে বসে জড়ো সড়ো;
মুখ থমথমে- কার্লো ছিল বাঁধা ।
আর সেই শূন্য ঘরে হাত চালালো এদিক- সেদিক।
পারোর মামা হবার সুবাদে ।
চলতে লাগলো সুযোগ সন্ধানীর বর্বরতা-
আমি সাহস জুটিয়ে কথাটা বললাম-
মা নির্বাক- বাবা বলেছিল
-'ও আদর- তোরই ভুল' ।
আমার ভাঙা হৃদয় বুঝে নিলো
রুখে দাঁড়াতে হবে আমাকেই-
একা-
আমি প্রস্তুত ।
সেদিন মাঝ রাতে লোকটা যখন
চুরি করা চাবি ঘুরিয়ে,
আমার একার ঘরে নিঃশব্দে প্রবেশরত-
সব শক্তি জুটিয়ে, আমার ঊনিশের শরীর
রক্তচক্ষু বিস্ফারিত করে
হুঙ্কারে বলেছিল 'এক্ষুণি বেরো, বেরো বলছি'।
বিদ্যুৎ গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার পাহারাদার-
কার্লো, নখ আর দাঁতের জোরে
লোকটাকে করেছিল ক্ষতবিক্ষত ।
দুজনের আগুনে ঝলসে গিয়ে
প্রাণে বেঁচেছিল বর্বর-
সেই রাতে পালিয়ে ।
জানোয়ার কে সমাজে?
বদল হোক নাম,
আর কীটনাশক দিয়ে মারা হোক
ওই বর্বর জন্তু গুলোকে-
ওরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত তখনই হবে,
যখন সবাই কার্লোর মতো একটা বন্ধু পাবে।