আমার জন্ম বছর ত্রিশ আগে-
সত্তর পেরনো বাড়িতে, যখন
বড়ো বৌমার ছেলের বিয়ের আসবাব
কি পথে ওপরে তোলা হবে
সে ছুতো ধরে তুলকালাম-

আমার জন্ম হল বনেদি বাড়ির
হীরের টুকরো ছেলের বিবাহোত্তর শান্তি রক্ষার অজুহাতে-
যে ছেলে প্রতি ক্ষণ চোরের মতো ধূর্ততায়
চালিয়ে গাছে তার বিষাক্ত শরীরের ছোঁয়া
সহায় হীন অর্ধ প্রস্ফুটিত ফুলের গায়ে।

আমার জন্ম হল এক রাতে,ঘন আষাঢ়ে -
পাড়া প্রতিবেশীর কানাকানি- একি ছিছি,
ঠাকুমা কাঁদলেন, অদৃশ্য হাসলেন,
বাড়ি জুড়ে হুড়োহুড়ি, দাপাদাপি, মুহূর্তে বন্ধ -
ঘুন যে লেগেছিলো অনেক গভীরে।

জন্মত্তর দেখলাম ঘটনা প্রবাহ-
স্বামী- স্ত্রীর নিস্তব্ধতা, কেনা বেচা, বাঁচা-মরা,
কারোর সুরা যন্ত্রনা, বুকের ব্যথায় অকাল প্রয়াণ,
কারোর প্রয়াণ নাটক; ভাগাভাগি,
শুধু শীতলতার  অন্ধকার।

ডজন খানেক মানুষের উষ্ণ অট্টালিকা
আজ মরুভূমি; নেই কারো আনাগোনা,
হাসির কলরব, আলোর রোশনাই, শীতের রোদ,
দোল পূর্ণিমা, বিজয়ার কোলাকুলি; শুধু কালের সাক্ষী হয়ে
অট্টহাসি হাসছি আমি, আমি আর আমি-

সেই বিভাজনের ইটের দেয়াল।।

@অপরাজিতা