কবিতালোচনা

"নিখোঁজ বিবৃতি" সর্বকালীন এক প্রাসঙ্গিক কবিতা
আনোয়ার আল ফারুক
..
অত্যাচারী  শাসকের সীমাহীন অত্যাচারেও কোন রাষ্ট্র সমাজ একেবারে নিঃশেষ হয় না,নিঃশেষ হয় সেই সমাজের বসবাসরত বোধ সম্পন্ন মানুষদের পূর্ণ নিরবতায়। কোন একটা সমাজ বা রাষ্ট্রে অবিরত জুলুম চলতে থাকলে যদি সেই সমাজে বসবাসরত জনগোষ্ঠী বাদ প্রতিবাদ না করে মৌনতার কৌশল অবলম্বন করে তাহলেও সেই জনগোষ্ঠীও প্রকান্তরে জালিমের খাতায় নাম লিখলো। জুলুমের প্রতিবাদ না করা হচ্ছে স্পষ্টত জালিমকে সহযোগিতা করা।বর্তমান সময়ের আধুনিক বাংলা কবিতার বরপুত শক্তিমান কবি জাকির আবু জাফরের বিখ্যাত কবিতা "নিখোঁজ বিবৃতি" আমাদের রাষ্ট্র সমাজ উৎরিয়ে গোটা বিশ্ব সভ্যতার চার প্রান্তের জালিমের জুলুম আর সমাজ রাষ্ট্রের বিবেকবানদের নৈতিক অধপতনের করুণ দৃশ্যপট অঙ্কিত হয়েছে।আমার বিশ্বাস কবিতাটি সার্ববৈশ্বিক সর্বকালীন একটি  প্রাসঙ্গিক কবিতা বটে। মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীনচেতা, নিজের নায্য অধিকার আদায়ে ভীষণ তৎপর হলেও মাঝে মাঝে বিবেকবোধকে বন্ধক দেয় জালিমশাহীর কাছে। ফলে রাষ্ট্র সমাজ অন্ধকারের অতল গহ্বরে নিমর্জিত হয়।আমজনতার মুক্তি হয়ে উঠে সাংঘাতিক দুরহ। রাষ্ট্র সমাজে বিচার ও ইনসাফের বাণী নিরবে নিভৃতে কেঁদে ফিরে। আর এমন অবস্থায় সেই রাষ্ট্র সমাজ মানব বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।কবিদের কাজ শব্দাঘাতে রাষ্ট্র সমাজের বন্ধ বিবেবকবোধে সুক্ষ্ণ আঘাত করে তাদের মাঝে সুপ্ত মানবীয় বোধ জেগে তোলা। কবি এই কবিতায় সেই কাজটি স্বার্থকভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন।স্বার্থের হাটে স্বার্থের নেশায় ঘুমিয়ে পড়া বিবেকবোধকে জাগিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কবি তার কবিতার মুখবন্ধে লিখেছেন-
"সমাজের কিছু পরম শ্রদ্ধেয় বহুদিন ধরে নিখোঁজ
অতলে কোথায় তলিয়েছে চেতনায়-ই নেই কারো
অথচ উঁচু জীবনের এরাই চৌকস পাহারাদার
মানুষকে মানবিক তুঙ্গে উন্নতির এরাই দণ্ড"
একটা রাষ্ট্র সমাজের যে মৌলিক ভীতগুলো আছে সেই ভীতগুলো যদি ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে অচিরে সেই রাষ্ট্র সমাজের কপালে চির দূর্ভোগ নেমে আসে। রাষ্ট্র সমাজের ভাগ্যাকাশে এক মহা অশনি সংকেত ঘুরপাক খায়। কবি তার কবিতায় রাষ্ট্র সমাজের মৌলিক ভীতগুলোর নিশ্চল নিরবতায় রাষ্ট্র সমাজের ভবিষ্যৎ গতিপথ যে বিপদগামীতার শেষ প্রান্তসীমায় অবস্থান করছে তার একটা স্পষ্ট বার্তা এঁকে দিয়েছেন তার এই কবিতায়। সমাজে গঠন পরিচালনায় যারা ভুমিকা রাখবে তারা সব সময় সজাগ সচেতন থাকতে হয়। কিন্তু তারা যদি অজ্ঞাত কিংবা জ্ঞাত কোন কারণে নিশ্চুপ হয়ে যায় তাহলে সেই রাষ্ট্র সমাজ মনুষ্য বসবাসের উপযোগিতা হারায়। সেখানে গড়ে উঠে হিংস্র হায়েনার একক আধিপত্য।এই কথা কবি তার কবিতার যবনিকাপাতে দু চরণে এভাবে বুঝিয়েছেন-
"অজ্ঞদের অশিষ্ট আচারে আকলমানরা বিব্রত!
মানুষের জনপদে মানুষরূপী এরা কারা!" বুদ্ধিমান জনগোষ্ঠীর নিরবতা একটা রাষ্ট্র সমাজকে সাক্ষাত নরক বানিয়ে দেয় তার স্পষ্ট বার্তা এসেছে কবিতার শেষ দু চরণে।এবার দেখা যাক কবি পরম শ্রদ্ধেয়জনদের নিখোঁজ তালিকায় কাদের রেখেছেন? তাদের নিখোঁজের ফলস্বরূপ রাষ্ট্র সমাজে কী অশনি বার্তা দিচ্ছে সেটা জেনে নেয়া যাক। প্রথম স্তবকে লিখেছেন-
”নিখোঁজদের তালিকা?
শুনলে বিস্ময়ে স্তব্ধতায় ঝিম হবেন!
শুনুন তবে-
প্রথমজন- জনাব সাহস! সত্য উচ্চারণে তিনিই তো আদর্শের হিমালয়। সূর্যের বুক থেকে উত্তাপ ছিনিয়ে মিথ্যার মুখোশ উন্মোচনের কে আছে তেমন!”

এখানে কবি নিখোঁজদের তালিকায় প্রথম স্থান দিয়েছেন সাহসকে। রাষ্ট্র সমাজ কিংবা ব্যক্তির বুকের হিম্মত যতদিন বহাল তবিয়তে থাকে ততদিন তাকে নোয়াবার ক্ষমতা কারোর থাকে না। যখন এই দূর্বিনত সাহসে গুনোপোঁকা বাসা বাঁধে আর সাহসও দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে যায় তখন আত্মবিশ্বাসে প্রবল ভাটা পড়ে আর রাষ্ট্র সমাজ কিংবা ব্যক্তি নিজের আয়নাতে তার পতনের শেষ চিহ্ন নিজ চোখেই অবলোকন করতে পারে। সত্য বলার সাহস যখন হারিয়ে যায় কিংবা কেড়ে নেয়া হয় তখন তা আর রাষ্ট্র সমাজ থাকে না, তা হয়ে উঠে দাঁতাল শুয়রের নির্ভেজাল এক ভয়ংকর খোয়াড়। জালিমশাহীর সামনে সত্য উচ্চারণ করা সবচেয়ে বড় জিহাদ। এই জিহাদে অংশগ্রহণের সক্ষমতা সবার সমান তালে না থাকলেও যুগে যুগে এক শ্রেণির অর্বিভাব হয় যারা চরম সাহসিকতার সাথে সত্যকে সত্য বলে আর মিথ্যাকে মিথ্যাই বলে। জালিমের রক্তচুক্ষু কখনো তাদের বিবেকবোধের রায় পরিবর্তন করতে পারে না। এই অসীম সাহসিকতার অধিকারীরাই যুগে যুগে মাজলুম জনগোষ্ঠির অবরুদ্ধ জীবনকে মুক্ত জীবনে আনয়নের প্রধান করিগর কিংবা মুখ্য নায়কের ভুমিকা পালন করেছে। কবি সাহসের আত্মগোপন কিংবা নিখোঁজে চরম মর্মাহত হয়েছেন।কবি তাঁর তৃতীয় নয়নে দেখছেন সাহস নিখোঁজের ভবিষ্যৎ কুফল।

কবির অঙ্কিত নিখোঁজ ছকের দ্বিতীয় তালিকা দেখে নেয়া যাক-
"দ্বিতীয়জন- শ্রদ্ধেয় প্রতিবাদ! রাজপথ থেকে সমাজের রন্ধ্রে কোথাও নেই তিনি
মানুষের বুকে ক্রোধের জ্বলজ্যান্ত দোজখ
অথচ মুখে নিস্তব্ধতার তালা
হাশর মাঠের মতো শুধু ইয়া নাফসির ফিসফাস"।

জালিমশাহীর অবিরত জুলুম দেখেও যদি রাষ্ট্র সমাজে বসবাসরত জনগোষ্ঠী নিশ্চল নিশ্চুপ থাকার কৌশল অবলম্বন পন্থা গ্রহণ করে তবে বুঝতে হবে সে রাষ্ট্র সমাজের বিবেকবোধের জায়গা বহু আগেই পঁচন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অন্যায়ের বাদ প্রতিবাদ মানুষের স্বভাবজাত আচরণ। এই বাদ প্রতিবাদ না করে নিরবে অন্যায় সয়ে যাওয়া আর নিজেকে জালিমের সহায়ক স্থানে স্থান দেওয়ার মধ্যে এক চিলতে পার্থক্য নেই। কবি আক্ষেপ সুরে বলছেন -মানুষের বুকে ক্রোধের জ্বলজ্যান্ত দোজখ/অথচ মুখে নিস্তব্ধতার তালা”।কবি তার সমস্ত আবেগ মিশ্রিত এই দু চরণে অধপতিত রাষ্ট্র সমাজের ভয়াবহ চিত্র তোলে ধরে মুক্তি কামীদের বিবেকবোধের বদ্ধ দুয়ারে শক্ত এক কষাঘাত করেছেন।অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারুদের মত জ্বলে উঠার বার্তা দিয়েছেন।মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে শাসক শ্রেণি বরাবরই খেলা করতে পছন্দ করেন। মানুষ তার নায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে হয়। বাদ প্রতিবাদ জানাতে হয়। প্রতিবাদের লেলিহান দহণে যখন রাজপথ প্রকম্পিত হয়ে উঠে তখনই মুক্তির লালসুরুজ উঁকি দেয়।নায্য অধিকার আদায় আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাদ প্রতিবাদের বিকল্প আর কিছুই নেই এই কথার স্পষ্ট গতিপথ/মানচিত্র এঁকেছেন কবি তার কবিতায়।

নিখোঁজ বিবৃতির তৃতীয় তালিকায় রাখছেন ঐতিহ্যকে।কবি লিখেছেন-
"তৃতীয়জন- সম্মানীয় ঐতিহ্য! কেউ ধারই ধারে না তাঁর। আধুনিক নায়ক নামে খলনায়কদের দৌরাত্ম্যে ঐতিহ্যানুসারীদের চোখে ঘুম নেই।"
সত্য সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্য অস্বীকার প্রবণতা আমাদের শাসক শ্রেণির একটা বদ খাসলতে পরিণত হয়েছে।এটা পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের ক্ষেত্রে দেখা যায়।তারা একপেশে সত্য সঠিক ঐতিহ্যকে অস্বীকার কিংবা পাশ কেটে যায়। এই ঐতিহ্যের নিখোঁজে কবি চরমভাবে মর্মাহত হয়েছেন।ঐতিহ্যের নিখোঁজের ফলাফলকে কবি শুভকর হিসেবে দেখছেন না। তিনি দেখছেন এর ভয়াবহ বদ পরিণতির স্পষ্ট কালোথাবা। যে কালোথাবা একটা জাতিগোষ্ঠীর ধংশের পূর্ব আলামত বটে।শাসক শ্রেণি কর্তৃক ইতিহাস ঐতিহ্যকে জোর করে মুছে দেওয়ার রেওয়াজ আছে ভুরিভুরি। কিন্তু সত্যিকার ইতিহাস ঐতিহ্য ঠিক আপন গতিতে এক সময় উদ্ভাসিত হয়।

নিখোঁজ তালিকার চতুর্থে রয়েছে মূল্যবোধ।রাষ্ট্র সমাজ থেকে মূল্যবোধের এই গুণটি হারিয়ে গেলে সেই রাষ্ট্র সমাজ জালিমের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। কবি লিখেছেন-
"তারপর তালিকায়- স্বনামধন্য মূল্যবোধ!
বিত্তধরেরা উৎভ্রান্তির উপত্যকায় বুঁদ
মধ্যবিত্ত যুবক যুবতীরা ভয়াল দেউলিয়া
ক্ষুধার অনলে নিম্নবিত্তের সবকিছু ছারখার
মূল্যবোধ চাষের কোনো চাষী নেই
সকলেই চেতনার জালে বন্দী।"
কবি মূল্যবোধের অবক্ষয়ে আক্ষেপ করে বলেন-”মূল্যবোধ চাষের কোনো চাষী নেই
সকলেই চেতনার জালে বন্দী।" কতটা নির্মম পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করছে এই চরণে তা বিবেকবান মাত্রই উপলবদ্ধি করতে পারেন। মূল্যবোধের অভাবে একটা রাষ্ট্র সমাজের করুণ চিত্রের করুণ দৃশ্যপট অঙ্কন করছেন দক্ষ শব্দচাষী এই কবি।মূল্যবোধের জায়গাটা একটা স্পর্শকাতর জায়গা। রাষ্ট্র সমাজ কিংবা ব্যক্তি মূল্যবোধ হারানো মানে পতনের কফিনের শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া।

নিখোঁজ তালিকার পঞ্চমে রয়েছে "বিনয়"। কবি লিখেছেন-
"এরপর তালিকায়- বিশিষ্ট বিনয়! তিনি নেই বলে ঔদ্ধত্যের ষাঁড়গুলো দাপাচ্ছে গোটা সমাজ
পেঁচার দৌরাত্ম্যে পাখিরা পলাতক
আমাদের ভদ্রশ্রেণি কুলুপ আঁটা, ভাষাহীন।"
বিনয় এমন একটা সৎগুণ যেটা ব্যক্তিকে পাশবিকতা থেকে বের করে মুনুষ্যবোধের উচ্চ মার্গে পৌঁছায়। যখন ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্র যন্ত্রের কারিগরদের থেকে এই বিনয় উঠে গিয়ে হিংস্রতা কিংবা দাম্ভিকতা গেঁড়ে বসে তখন সেই বদ রাষ্ট্র সমাজের বাস্তব চিত্র আঁকতে গিয়ে কবি বলেছেন -"ঔদ্ধত্যের ষাঁড়গুলো দাপাচ্ছে গোটা সমাজ
পেঁচার দৌরাত্ম্যে পাখিরা পলাতক"। এই চরণ ব্যখ্যার অবকাশ রাখে না। চিন্তাশীল কিংবা সাধারণ বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ মাত্রই উপলবদ্ধি করতে পারে এর বাস্তব চিত্র। বিনয়ের অভাবে শাসক হয়ে উঠে শোষকে আর শোষকের রাজ্যে দাঁতাল শুয়র কিংবা পাগলা ষাঁড়গুলো অবলিলায় ধংশযজ্ঞ চালিয়ে যায় নির্বিচারে। এসব দেখেও ভদ্র শ্রেণি যখন মুখে কুলুপ এঁটে চুপ থাকে তখন বুঝতে হবে রাষ্ট্র সমাজ ব্যবস্থার পঁচনটা ঠিক তার মাথায় ধরেছে।

শেষ চরণে কবি লিখেছেন-”সব শেষে- মহামান্য ন্যায়বিচার! তিনি নিখোঁজ বলে মানবিক খামারগুলো অপরাধী দামড়ায় ভরে উঠছে। শেয়ালের কণ্ঠে সিংহের গর্জন! অবলা গরুও হায়েনার হিংস্রতায় দাঁত কাটে!”।
ন্যায় বিচার রাষ্ট্র সমাজের গুরুত্বপূর্ণ এক ভীত। এই ভীতের অবনতি কিংবা ভঙ্গুর দশা গোটা রাষ্ট্র সমাজকে করে তোলে হিংস্রতার এক অভয়ারণ্যে।ন্যায়বিচার নির্বাসনে গেলে রাষ্ট্র সমাজ কতটা ভয়ানক অবস্থানে পৌঁছে তার একটা করুণ চিত্র আঁকছেন কবি তার দক্ষ হাতের তুলিতে।পৃথিবীর আদি থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত জালিমরা ন্যায়বিচারকে নির্বাসনে পাঠিয়ে তাদের জুলুমের সীমা পরিসীমা দীর্ঘায়িত করার এক ঘৃণ্য অপপ্রয়াশ চালিয়েছে। এখনো পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে চলছে একই তরিকা। ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতে পৃথিবীতে বহু জনপদ সাক্ষাত নরকে পরিণত হয়েছে। বিচারহীনতা সংস্কৃতির খোলস পরে শাসক শ্রেণি রাষ্ট্র সমাজকে বিরানভুমিতে পরিণত করছে আর তখন সমাজের বিবেকধোধ সম্পন্নরা যদি এসব অবিচারের বাদ প্রতিবাদে এগিয়ে না আসে তাহলে আমজনতার শেষ ভরশার জায়গাটা আর অবশিষ্ট  থাকে না।
সর্বশেষ চরণে কবি একটা অধপতিত ধংশোন্মুখ রাষ্ট্র সমাজের বেহাল দশার সুস্পষ্ট বার্তা এঁকে দিয়েছেন।কবির "নিখোঁজ বিবৃতি" কবিতাটি আপনা আপনি একটা ব্যখ্যামুলক বক্তব্য। কবিতার পাঠকরা সহজে কবিতার ভাব উন্মোচন করতে সক্ষম।কোন রকম জটিলতাপূর্ণ ইঙ্গিত ইশারা ছাড়াই এত স্পষ্ট বয়ানে কবিতা খুব কম হয়।এই কবিতা আমাদের রাষ্ট্র সমাজের বাস্তব করুণ দৃশ্যপট আঁকার সাথে রাষ্ট্র সমাজে বসবাসরত আকলমান নাগরিকদের করণীয় নির্দেশসূচক সুস্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন।এই কবিতা হোক পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ঘাপটে মেরে বসে থাকা জগদ্দল পাথর স্বৈরশাসকদের পতনের ঘন্টাধ্বণি আর মাজলুম জনতার মুক্তির স্মারক এই প্রত্যাশা রাখছি।