বড় বাহাদুর
আনোয়ার আল ফারুক
টেবিলের শেষ কোণে বসে এক ছাত্র
সকলের কাছে যেন তামাশার পাত্র,
বকাঝঁকা বেতের ঘা জুটে তার নিত্য
তাকে দেখে অনেকের জ্বলে ওঠে পিত্ত।
..
পড়ালেখা একদম পারে নাতো কিছু
বকাঝঁকা বেত ভয়ে মাথা রাখে নিচু,
নেই তার সফলতা খেলা আর পাঠে
যায় না সে কোনদিন বিকেলের মাঠে।
..
তবে ঠিক দেয় না সে ইশকুল ফাঁকি
লেখাপড়া না পারায় ভেজে ওঠে আঁখি,
কারো সাথে মেলামেশা হয় না যে কভু
বলে সবে ইশকুলে আসে কেন তবু?
..
হেডস্যার ডেকে বলে কী খবর বলো
ভয়েভয়ে আজ তার আঁখি টলোমলো,
কাঁপাকাঁপা স্বরে বলে আমি বড় দুখি
বিপদের হাতছানি রোজরোজ রুখি।
..
রোজরাতে বাস ট্রেনে চড়ে করি ফেরি
মাঝে মাঝে তাই হয় ইশকুলে দেরি,
মা আমার বিছানায় তার বড় রোগ
কী করে আমি দিই পড়ায় মনোযোগ?
..
তবুও যে ফিরে আসি ইশকুল টানে
ভাল্লাগে থাকতে যে পড়ালেখা ঘ্রাণে,
নাম কেটে দেন যদি চলে যাব দূরে
কেঁদেকেঁদে বলে আজ বিলাপের সুরে।
..
তার কথা শোনে শেষে কেঁদে ওঠে সবে
এতো বড় বাহাদুর আছে কী যে ভবে?
রাতভর ফেরি করে দিনে পড়ালেখা
তার কাছে সমাজের আছে বেশ শেখা।#