মাছরাঙা
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনোয়ারুল হক
নানারঙ আলপনে,- উজ্জ্বল বাহারি
আঁটোসাঁটো গড়নের ছোট কিবা মাঝারি,
খাটো পায় বড় ঠোঁটে পরিচিত পাখিটা
দেখে যেন মনে হয় পটেআঁকা ছবিটা।
নানা জাতি’ মাছরাঙা খাল বিল নালাতে
কুই কুই ওড়ে যায় রঙতুলি পাখাতে।
বেঁধে বাসা জলাশয়ে খাড়াপাড় ঢালুতে
শিকারেতে মাতে শুধু উজ্জ্বল আলোতে।
অগভীর জলাশয়ে টলটল জলেতে
ছোট মাছ ধরে খায় জলাভূমি নদেতে।
নিজ নিজ এলাকায় দখলের বলয়ে
অন্যকে তেড়ে ফিরে ক্ষমতার প্রলয়ে।
চুপচাপ মাছরাঙা বসে ঐ ডালেতে
উঁকিঝুঁকি মারে সদা চোখ রেখে নিচেতে।
ঝুপঝাঁপ দেয় ঝাঁপ ঝুপ করে জলেতে
ঝটপট ওঠে আসে ধরে মাছ পলেতে।
ক্ষুরধার দৃষ্টির ঠিকঠাক নিশানা
শিকারের সাফল্যে নিশ্চিত ঠিকানা।
মাছটারে ডালসাথে বারে বারে আছড়ে
মুহূর্তে ছুঁড়ে দেয় শূন্যেতে উপরে।
নিশ্চিত হয়ে নিয়ে নড়াচড়া বন্ধে,
মরামাছ গিলে খায় মহাসুখ-নন্দে।
ডালে ডালে থাকে তবু বাস করে কুহরে
মিলনের ক্ষণে দুঁহে আহা কত মোহ রে!
প্রেমময় মিলনের ওড়ে দিয়ে ঝাণ্ডা
প্রজনন ঋতুতেই পাড়ে কয় আণ্ডা।
সংসারে একসাথে মজে মন মিলেতে
ভাগাভাগি করে কাজ তাপ দেয় ডিমেতে।
মামতার সমতায় ফুটন্ত বাচ্চা-
পালনের দ্বায়িত্বে বহে প্রেম সাচ্চা।
পাহারায় পালাকরে কেউ থাকে বাসাতে
আহারের খুঁজে কেউ জলময় নালাতে।
আকণ্ঠ গিলে মাছ ছুটে এসে আলয়ে
উদ্গিরি ঢেলে দেয় মমতার প্রলয়ে।
বড় হয়ে ভুলে সব ওড়ে যায় আকাশে,
মমতার গান সব ভেসে রয় বাতাসে।
ঢাকা, ১৪/১০/২০১৮