লাবণ্যময়ী, আদ্রতাশূন্য জীবনের ভাগে সহচারিণী;
আসিয়া ছিলে তব তরঙ্গ স্রোত; অলক্ষ্যে হে কামিনী!
সে কি শিহরণ, তব তোমাতে পহেলা যুগের ক্ষণে,
ওঠে ছিলো বেজে সুখের বারতা হৃদয় গহীন কোণে।

অবিমল সুখ, শ্রাবণের ধারায় এসেছিলে তব সুশ্রী,
নম্রতায় ভরা ছিল খুদিত প্রাঞ্জলতা; জাফরানির সুবাস।
আরোণ্য রোদন করিয়া মরিয়াছে হেথায় তব; নিঃশেষে,
তব অযাচিত বিবৃত হইয়াছিনু অসংখ্য বেলায়।

আবছা আলোয় দেখিনু মোরে; হেথায় ফেলেছিনু ছুড়ে,
অবহেলা আর লালায়িত বাসনা করেছে তোমা মোহ!
অন্ধ-বধির সাদৃশ্য আচার করিয়াছিনু তব সাথে।
তবুও ফিরিনু তোমাতে; শত আঘাতের পাতে।

আসিনু অলক্ষ্যে শতবার ফিরে ফিরে তব হয়েছি তাড়া;
এমনই করিয়া ছুড়িয়ে ফেলিয়া করিলে লক্ষী ছাড়া!
নচেৎ; তব কি ভাবিয়া করেছিনু? মন তো সেথা জানে,
বুঝেনি এখনো খানিকটা বাকি; জীবনের পূর্ণ মানে।

অর্থ-বিত্তের প্রভাবে যেথা মিছে হয় তব বাণী;
কিভাবেই তব নিজেকে রচো হে ভঙ্গিতা! কল্যাণী?
উচ্চ বিত্ত; নিম্ন-মধ্যম করিয়াছিনু তব ফারাক!
অমিত সুধা পাবে না তব; জীবন হবে নারক।

আসিয়াছিনু জীবনের সুখের বারতা হয়ে; দখিনা বায়ু,
ক্ষণিকের তরে জীবনের ক্ষণচারিনী ক্ষয় করেছে আয়ু।
তব কি খেলা-ছল! মেকি প্রণয় সাধনা? বুঝা তব বাকি;
প্রশ্নের কোটেশনে অযাচিত বিবৃত করিয়াছি তব হাকি।

এখন বিবৃত করিয়াছি; হেরা যাওয়া জীবনের সব কথা,
ব্যক্ত করিয়াছি ব্যথিত মানবের এক অসীম কাতরতা।
শত আঘাতের চিহ্ন রহিয়াছে হৃদয় গহীন অতলে,
চিনিয়াছিনু তব; মেকি প্রণয় আর চাতুর্য, পড়েছিনু কবলে।

দুঃখ দৈন্য দশা নিয়েছে হেথা টেনে; তব কি অপরাধ?
সম্মতি নচেৎ বাঁধন করিয়াছি জোড়! তব দৈন্য দশা;
চাতুর্যতা দেখিয়াছিনু; জীবনের সফলতা বুঝি হাতে!
হারিয়াছিনু-হেরেছ এতো হিসাব কষে; আঙ্গুলি ছাড়ো!

দু চোখ তোমা মোহ ভরা; তব দেখোনি স্নেহ টান,
অজুহাত রচিয়া ছেড়েছো বুঝি! এমন স্নেহের বাণ।
দুঃখের স্রোতে হয় তো বা ডুবিনু তব কি আছে বেঁচে;
স্রোত তব টানিয়া আনিবে তোমা অনন্ত সে সাজে।

নির্বিকার তব দর্শন করিয়াছি তোমা হতে শুভ্রতা,
অমিশ্রিত জাফরানি সুবাস; বিশেষ আকুলতা।
তোমাতে রহিনু প্রতিটি দিবস অন্ত-আদি সজিবতা;
রাখিছিনু তব উপ; যাহা সকাল সাজে ডাকিনু নম্রতা।

_______

২/২/২৫ইং