তুমি বৈশাখীর গোমরো কালো মেঘের থাবা,
জীবনের শৈবালে উপচে পড়েছো এসে।
নতুন রাঙ্গানোর ভোরের প্রভাত দেব বলে!
ক্ষণিকের মিছে আলপনায় মজেছিলে।
তবু কতক্ষাণি মিশে, দিশেহারা দৈন্যতায় দায়ী,
ভাবাবেগ বুঝে ওঠার আগেই অবুঝ হলো শান্ত।
কতটা জীবনের তরী বেয়ে এসেছিনু পাড়ে
অকাল মৃত্যু ছুঁয়ে দিলে পহেলা ঝড়ে।
অবুঝ মন সদা চরণ চুমে তব পাদটীকা রচে
আদেখা স্বাদ তব মরে বিষবাণ যন্ত্রণা সেচে।
মেঘলা আকাশের গর্জন শুনি প্রহর গুনে,
হৃদয় আর মজে না তব কণ্ঠের তপ্ত সুধায়।
অবিকল তোমাতে রচি স্বপ্ন-বিভোর কালো রাতে,
নেই তব সুপ্রভাত বিনিদ্র রজনীর বিবর্তনে যে সকাল।
অসুখ মোর ছুঁয়েনি জীবনের তটরেখার সীমা,
সে আজ মোর জীবনে অতন্দ্র প্রহরী শিহরণ জাগায়।
জীবনের যেথায় বিরাজ করে সদা মাখামাখি ঘনঘটা,
জীবন সেখানে পেলই কেবল ফুল-খচিত কাঁটা!