তুমি ছন্দময়ী;
তুমি অনন্তকাল ছুটে চলা নৃত্য করা নটরাজ!
তুমি আঁধারে আলোর মশাল হাতে বুকে সুপ্ত স্বপ্নবাজ।
তোমার দীপ্ত জয়জয়কার ধ্বনি বাজবে সারা রাজরাজ।
তুমি আনন্দময়ী;
তুমি আসবে, হাতে থাকবে তোমার সাফল্য আর কথামালা।
তোমার ফেরার অধীর আগ্রহে বসে আছে চিরকাল দঃখিনী।

তুমি কল্যাণকামী;
অসুর আর অশুভ তোমার প্রস্থানে কাঁপিবে থরথর!
যত অকল্যাণ তোমার পদাঘাত নুয়ে পড়িবে হবে নিথর।
তুমি ধুমকেতু!
তুমি আছড়ে পড়িবে মোদের মাথার উপর ভেঙ্গে করবে চৌচির।
তুমি কাল'ফনী হয়ে ধেয়ে আসিবে তাদের উপরে যারা অশুভ বধির।

তুমি ফাল্গুনী হওয়া;
দখিনা বাতাসে কৃষ্ণচূড়ার পাতা দুলাতে দুলাতে আসিবে;
প্রশান্ত করিবে নুয়ে পড়া ক্লান্ত পথিক আর কৃষকে ভালোবাসিবে।
তুমি অনুসন্ধানী;
আকাশ পাথার এপার ওপার থেকে খোঁজিয়া আনিবে অনিবার্য শান্তি।
অমিশ্রত জাফরানে সুবাস; বিনিদ্র রজনীর পথচারীর দূর হবে ক্লান্তি।

তুমি বজ্রযানী;
বিজলির চমক চমকাতে চমকাতে আচমকা আছড়ে পড়িবে নষ্টা সমাজে!
যেখানে অন্যায়, সেখানে তোমার আগমন ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে।
তুমি ন্যায়ের পথিক;
অসত্য আর দুষ্কর্ম্মের দল যেখানে করবে হানাহানি;
ন্যায়ের অগ্রগামী পথিকৃৎ আর কঠোর শাস্তিদাতা তারা সেখানে আনবে টানি।

২৪/০২/২৪ ইং