অসংখ্য যত সুগন্ধি ফুলের বাহার
ছড়িয়েছে তার সর্বাঙ্গ জুড়ে।
কখনো করে চলে নিস্তব্ধতার রূঢতা পরিহারের,
অবিরাম অবিরত প্রয়াস।
কখনো বা মনমোহিনী সুবাস ছড়িয়ে দিয়ে
ভবিষ্যতের পচনশীলতার গ্লানি লুকায়।
তবে এ বড়ই কঠিন কাজ।
স্বল্পকালের স্বস্তি কি আর পারে
দীর্ঘকালের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার
চরম পরিণতিকে আটকাতে!
পারে কি তারে মুছে ফেলতে?
যা এককালে ছিল হয়তো কোনো
প্রেমিকের অকৃত্রিম প্রেমের মুখ,
হয়তো বা ছিল কোনো নারীর
মাতৃস্নেহে বিগলিত হয়ে যাওয়া
প্রাণের স্বাদ।
হয়তো বা.... হয়তো বা....
না! যা হয়,তা তো আর হয়তো
'হয়তো' তে থেমে থাকেনা।
যা ঘটার তা তো ঘটবেই,
যা হওয়ার তা তো হবেই।
কিন্ত,কিন্তু এই যে 'হ্যা' থেকে 'না' হওয়ার গল্প,
এ গল্প যতই গল্প হোক তা তো
আদতে সত্য,আদতে নিখাদ,আদতে বৃহৎ।
সৃষ্টি সুখের আনন্দের সমাপ্তি কি তবে
নিঃশেষ হওয়ার চরম পরিণতিতেই আবদ্ধ?
এক থেকে হয় দুই,
দুই থেকে তিন,
তিন থেকে হয় চার।
সংখ্যার ধর্ম সংখ্যা করে পালন।
তবে সত্যিই কি পালন করে?
মানুষের সাথে তবে তার কি'ই বা শত্রুতা?
যা'র যা ধর্ম,সে তা করবেই।
এই ছিল নির্মেঘ সত্য,এই ছিল চিরন্তন।
তবে কেন এমন করাল আঘাত?
যাকে বলে "জীবন",তার দূরত্বই বা কত?
যাকে বলে "মৃত্যু", তার সীমানাই বা কোথায়?
যদি পারো হাতটা বাড়িয়ে দেখো একবার।
দূরত্ব আর সীমানা দু'ই পাবে।
জীবনের দূরত্ব সেটুকু
দুই হাতের মাঝে ব্যবধান যেটুকু।
আর সেইখানেতেই মৃত্যুর সীমানা,
যেখানেতে সকল জীবনের ঠিকানা।