ভন্ডামি/অনুরাধা চক্রবর্ত্তী।
সাধু বাবা বসে আছেন গাছের নিচে,
পরনে তার বাগ - ছাল,সামনে জ্বলছে ধুনি।
পরম পিতার সন্তান,তাই মানুষ আসছে চরণ ছুতে:
এই সাধু বাবারা যুগ যুগ ধরে বসে থাকেন,
কখনো গাছের তলায় কখনো মন্দিরের পাশে
মানুষের মঙ্গল করবেন বলে, বসে থাকেন।
স্থূলকায় মহিলা সাধুর চরণে, “বাঁচাও বাবা!
ওপার বাংলা থেকে এসেছি তোমার চরণে।”
সাধু কয় , আয় বেটি কাছে আয়,জয় তারা!
পিঠে চারটে চড় মেরে, সাধু বলে উঠে দাঁড়া।।
দেখ বেটি মাথায় রাখ, টাকা মাটি, মাটি টাকা,
আমার প্রনামি বাক্সে দিয়ে, ফিরে যা ঢাকা।
এরপর আসে শ্যাম বর্ণ দীর্ঘাঙ্গি এক যুবক,
বিচ্ছেদের জ্বালায় জর্জরিত তবু সেই রমণী স্তাবক।
ওকে ছাড়া বাঁচবো না বাবা!ওকে ফিরিয়ে দাও,
বলো তার বিনিময়ে তুমি কি কি চাও?
সাধু বলে: “ব্যাটাজেনে রাখ,টাকা-পয়সা মূল্যহীন,
আর নারীর শরীর? হাহাহা দশ টাকার বোরোলিন।”
আর কতকাল মানুষ সেবা চলবে সাধু বাবার?
ভন্ডামি করে জীবনটাকে করছো তুমি কাবার।
বিরিঞ্চি বাবা যুগে যুগে জন্মায় আর মরে,
সজাগ হও তোমরা মানুষ ,সকল ঘরে ঘরে।।