# আমার প্রিয় মুর্শিদাবাদ জেলা # /(অনুরাধা চক্রবর্ত্তী)

জেলায় জেলায় হচ্ছে যেন লড়াই,
সব জেলারাই করছে নিজের বড়াই।
সব জেলার’ই থাকে কিছু গর্ব,
তর্কে গেলে সবাই আত্ম -সর্ব।

যে জেলার মাঝখান দিয়ে ভাগীরথী বয়,
সেই জেলাকেই জেনে রেখো মুর্শিদাবাদ কয়।
গঙ্গা,পদ্মা,ভাগীরথী, ময়ূরাক্ষী বয়ে চলে,
ভৈরবী,সুতি ,জলঙ্গি, দ্বারকা কতো ইতিহাস বলে।
দাদপুরে নীলকুঠি, মুনির মহল আছে জঙ্গিপুরে,
হাজারদুয়ারি ইমামবাড়া,কাটরা মসজিদ আছে তীরে।
কিরীটেশ্বরী’মন্দির, ব্যারাকপুর-স্কয়ার, লালদিঘি,
ফরাক্কা ব্যারেজ, খোশবাগ, সুভাষ দ্বীপ,আছে সাগর দিঘী।
মুর্শিদকুলি খান নাম দেন মুকসুদাবাদ,
বাংলার রাজধানী ব্রিটিশরা বলে মুর্শিদাবাদ।

মুর্শিদাবাদের খাবারের আছে অনেক ঢং,
নবাব’গণ চলে গেলেও আছে অনেক সঙ্
লালবাগের মিষ্টি জনপ্রিয় বেশ,
      বিরিয়ানি চিকেন মাটন
সবেতেই বাঙালিয়ানার রেশ।

বিশ্বাসঘাতক প্রভুভক্ত সবই ছিল মুর্শিদাবাদে,
সপরিবারে বধ জগৎ শেঠ সে প্রাসাদ আজও কাঁদে।
কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ীর বড় আয়োজন,
মুর্শিদকুলিখাঁর সমাধি ও কামান দেখা বড় প্রয়োজন।
নবাব সিরাজের সমাধি আছে খোশবাগে
হেস্টিংসের মেয়ের সমাধি’ও আছে মুর্শিদাবাদে।
ষড়যন্ত্রের গ্রীন রুম ছিল কাশিমবাজার
আজও আছে মন্দির মসজিদ আর কত মাজার।
কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ীর বড় আয়োজন,
রোশনবাগে নবাব সুজাউদ্দিনের সমাধি দেখা বড় প্রয়োজন।
মুজিবনগর ও পলাশীর সেই আমবন
পড়ে আছে যেথা বাঙালির ভারাক্রান্ত মন।
জয়ী হোক সব জেলা বল জিন্দাবাদ,
আমি বলি সবার ওপর রবে মুর্শিদাবাদ।।