~:: সপ্ত সিন্ধুর অচেনা প্রেম ::~
সপ্ত সিন্ধু পারে সেই বিদেশের খেয়া ঘাটে
দাড়িয়েছিলাম অচেনা মুখের ভীড়ে,
সেই অচেনার ভীড়ে শুধু তুমি এসেছিলে চেনা হয়ে
সাগর বুকে এক টুকরো মুক্তো খুঁজে পাওয়ার মত !
তাই এত কষ্টের সম্পদ বলে পরেছিলাম আংটি করে
রেখেছিলাম মাটির কুঁড়ে ঘরে কিন্তু মনের রাজপ্রাসাদে,
যা ইন্দ্রের রাজপ্রাসাদকেও নিন্দুকেরা নিন্দা করে ৷
তুমি ছিলে সেখানে আমার আরাধ্যা স্বর্ণ দেবী
আমি ছিলাম সেই সপ্ত সিন্ধু পারের গোপন পুজারী,
এর পরেও কি তুমি বলবে— তুমি আমায় কতটা ভালোবাসো ?
তবে হ্যাঁ আমি সত্যি গরীব, এক ভিখারীর মত
আর তুমি, তুমি-ই হলে আমার ভিক্ষার ঝুলির এক অমুল্য সংগ্রহ ৷
তাকে তো অচিরে হারিয়ে যেতে দিতে পারিনা
কিন্তু শুনলনা, হারিয়ে গেল মুক্তো দেওয়া সোনার আংটি খানি ৷
দুরে গেলেও মনে থাকবে সেই অচেনার মুখ
সে যে আমার বড় আপনার প্রেম৷
শুধু জানাই ভগবান,— আমাকে করোনা সসাগরা ধরিত্রীর সম্রাট
তাহলে সেদিন হতেই তাকে যে একেবারে হারালাম
এই দরীদ্রের মধ্যেই তারে মনে পড়বে বার বার
দিনের কোলাহলে , রাত্রির নির্জনতায় ৷
হারিয়েছি তোমাকে তবুও হারাইনি তোমার ভালোবাসা
তুমিতো আমায় আজও ভালোবাসো, তাই না?
শুধু ভালোবাসলেনা আমার জন্মভূমি, এই মাটির ঘরটিকে
সিন্ধু পারের অচেনা প্রেম তুমি আজ অচেনাই রয়ে গেল৷