তোমার জল এনেছে আমার কথা,
ওগো আমার মৌন বধূয়া...,
আজ ছল ছল দু'নয়নে তাকিয়ে রয়েছ কেন?
নিশীর স্বপ্নে বিরহী পলাশকলি ফুটিয়াছে যেন৷
ছন্নছাড়া তরুলতা, এভাবে মৌন রহি
সকরুন সাজে সজ্জিতা রানী, কে আসিবে গো আরহী?
ওগো চন্দ্রমল্লিকা ! চাহিয়াছ চাঁদের পানে—
গগনে সুবাসিত তব সুরভি, নিরব প্রেমের আহ্বানে,
প্রদীপ শিখা আঁন্ধারে যেমন,
তেমন তোমার প্রেমজ্বতি উথলে ওঠে মনে
আঁন্ধার ভরা মন যে সারা বিশ্বভ্রমি
পুলকে শিহরীত সম্মুখে তব জ্বোতি আগমনী ৷
হ্রদয় বেদনাতে তৃষিত আঁখি খুঁজিছে তোমায়
নাহি এলে প্রিয় তুমি, তবু সজল বর্ষা এসেছে ফিরিয়া৷
তবে কেন মনে করে আজ তুমি, একেলা প্রান্তরে
যারে ফিরায়েছ, তারে ডাকিতেছ কেন বারে বারে?
কি হবে চোখের জলে? ডুবেছে চাঁদ,
উঠিবেনা পূর্ণিমা ছাড়া,পাতিওনা আর ফাঁদ৷
আসিব গো বক্ষে তোমার কান্না নিয়ে নয়নে
আমি বিরহের ঝরা ফুল হয়ে লুটাব তব চরনে৷
আজ আমি হয়েছি পাগল, নেই পুরাতন প্রেমিক
দেখিলে আমারে তুমি, দেবে যে নিজেরে ধিক৷
চেওনা আমারে আর, আমি হয়েছি পাগল ভিখারী
দ্বারে দ্বারে শুধু তোমার জন্যে হাহাকার করে ফিরি
চাহিনা আর তোমায় কভূ দিতে যে দেখা
লিখিওনা আর হ্রদয় মাঝে অমার বিরহের কথা
—————————————————————