এক ছিলিম গাঁজা দেবে
তারিখটা ছিল কতো?
আগষ্ট চব্বিশ, দু’হাজার বিশ
মনে হয়,
আমিও যদি পারতাম,ইস্!
আনন্দের প্রথম পাতায়,
দেখি এক বুড়োভাম্
ভোলে মনের বিরহ জ্বালা
কাটায় অবকাশ—
করে ময়ূর-ময়ূরীর সাথে খেলা;
সকালবেলা।
একদল ভক্তেরা হলো গদ্ গদ্
শোনায় নানা কাহিনী—
করে বর্ণন তার-ই বিশদ
দ্যাখো ক-তো? গু-লু-গু-লু
আছে ভোলা ভোলা!
সংসার ধম্মে নাই কোন পিছুটান,
মনকথায় গড়ে আপন মনবিতান!
আর তাঁর কাঁধে আছে
এক রঙিন ঝোলা,
গোঁসা হলেই হবে গৃহত্যাগী
যাবে চলে হিমালয়ের কোলে,
রাতের বেলা।।
একখানি ছবি দ্যাইখা,
মন আ-মা-র ভরে না;
মুঠোফোন নিয়ে হাতে
বলি কথা, পত্রিকার সম্পাদকের সাথে
দা-দা-ভা-ই; আমার চাই-ই চাই
‘বুড়োভামে’র ছোটবেলার ছবি
দেওয়ালে অনেকটা জায়গা বাকী
টানাবো বৈ-কি!
ওপার হতে ক্ষীণ শব্দ আছে কানে
কহে,ছবিটা ছাপানো প্যাটের টানে
মালিকের হুকুম ভাই;
খবর থাকলেও খবরের দিশা নাই—
চাকুরী বাঁচানোর শুধুই এক প্রয়াস,
এ বড়ো নিষ্ঠুর পরিহাস!
জেনো, পেট বড় বালাই,
স্মরণ দেবো রাজধর্মের,সে চেষ্টা বৃথা তাই;
ধন্য ধন্য ভারতমাতা,
বুদ্ বুদ্ স্বরে আওড়াই; কানাই, কানাই!!
শুনে আমাদের আলাপচারিতা
ভক্ত ভাইপোর হলো পেটেব্যাথা;
বলে— ক্যাঁ-ক্যাঁ,
মা জননীর গ-ণ্ডি কাঁটা,
— দ্যাখোনি—?
তখনতো, এইসব ছাইপাস ল্যাখোনি?
কেমনে আমার শিশুতোষ ভাইপোকে বোঝাই
‘মাতৃনিন্দা মহাপাপ’ — শাস্ত্রের বিধান!!!
মায়ের সমালোচনা যেন আপনার অপমান—
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালাই!
নগ্নতার দেশে উলঙ্গের ভিড়,
নিশুতির অন্ধকার ঘিরে ধরে
বুকের পাঁজরে ধরে চিড়,
আর তাই চাইনা থাকতে ধীর; স্থির!
তোমাতে আমাতে কী বা আছে অ-মিল?!
তোমাদের দলে আমিও হবো সামিল;
একটা কথা রাখো,
তুমি আমি অভিন্ন! দ্যাখো তাই দ্যাখো—
এক ছিলিম গাঁজা দাওনা,
একটিবার রাখো আমার বায়না
নগ্ন হয়েই এবার আমি নাচি
কী আর করি?
তোমাদের সাথেই শেষ জীবনটুকু বাঁচি !!!
@ অনুপম
রচনাকাল: ২৪.০৮.২০২০ গভীর রাত...