ফিরে দেখা
রৌণকের জন্মদিনে মঙ্গলকামনা বিধায়
কৈশোরের বন্ধুসব মিলিলুম রিপনের আলয়,
সাজানো গৃহ রকমারি আলোর রোশনাতে
নানা আয়োজনে পরিপূর্ণ পৌষের সন্ধ্যারাতে
মুখরিত চারিপাশ,
বইছে যেন অফুরান প্রাণোচ্ছ্বাস
হিন্দলিল হিয়াকমল আনন্দগীতে।
ছোট্ট শিশুর জন্মদিন উপলক্ষ করি,
মিলিলাম বহুদিন পর বন্ধু সকলি
স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে ফিকে হওয়া
সোনালি সেই দিনগুলি;
যতই ভুলতে চাই,
কেমনে তারে ভুলি,
বন্ধু, ক্যামনে তারে ভুলি।
একে একে দোলা দেয়,
স্মৃতিমধুর ঘটনাবলি
মনের আঙিনায়—
কত ছিল বেদনা বিধুর
কত ছিল আনন্দ সুমধুর
ঘাত প্রতিঘাত জীবনের গতিতে চলা
কত কথা কয়েছিলুম, কত যে হয়নি বলা।
কত শব্দ হারায়ে গেছে, কত যে পেল সুর
নেই তার কোন কিনারা
ভাবি যবে, আঁখিপাটে নামে আনন্দধারা।
কী নির্দিষ্ট সুলিখিত নিয়মাবলি!
চাওয়া পাওয়ার পদাবলি,
ঢেকে গেছে কুয়াশার চাদরে
মৃতবৎ অভিপ্রায় তবুও উঁকি মারে
মেলতে চায় পাখা মুক্ত নীলাকাশে
সুরের লাগি হারানো সুর আজও তাই ভাসে
হারু, হাবু, বিশ্বজিৎ, শীতল, রিপনের কথায়
অনুপম চিত্তমাঝে উন্মিলিত নব কিশলয়
খোঁজে প্রভাত-উদিত তপনের সোনালি
রঞ্জিতা কিরণমালা
জাগে আর জাগবে আশিস প্রভায়
মিলন মাহেন্দ্রক্ষণ পূর্ণতা পায় এ কামনায়—
শীঘ্রই হবে আবার দেখা
গো সখা,
আজকের তরে বিদায়,
হে বন্ধু বিদায়।।
@ অনুপম
রচনা: ২৪.১২.২০১৯, বাগুইআটি