সংসারের সমস্ত দিক সামলে ছেলেটিকে পড়ানোর অর্থ সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি তার পিতামাতা।তাহলে তার আর পড়াশোনা হবে না?
আর পাঁচটা শিশুর মতো ব্যাগ কাঁধে সে স্কুলের বেঞ্চে বসবে না?
মেকলের "চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়া নীতি" বা "মেকলে মিনিটস্" কি প্রযোজ্য হবে না?
অবলীলাক্রমে ধুলোয় মিশে যাবে সব নীতি?
না খেতে পেয়ে যারা ভবিষ্যতে সুখে থাকার চিন্তা করে, জীর্ণ কাপড় পড়েও যারা ছেলেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,পুলিশ বানানোর চিন্তা করে তাদের আর তাহলে.....।
ঠিক এই সময় বুকে যে আঁকড়ে ধরে বলেছিল "আপনার ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব আমার" সেই তো শিক্ষক।
যে স্কুলের সব থেকে মেধাবী ছেলেটাকেও ভালোবাসে আবার সব থেকে চঞ্চল,অধীর ছেলেটাকেও ভালোবাসে সেইতো প্রকৃত শিক্ষক।
যে,ছেলেটির হাজার দোষ দেখেও বুকে জড়িয়ে বলে "বাবা পড়াশোনা করো সব কষ্ট দুঃখ ঘোচাতে হবে তো!" সেই তো শিক্ষক।
যে,সকল ছাত্রের কাছে নিজের সবটুকু উজার করে দিয়ে তাকে জ্ঞানী করে তোলে সেই তো শিক্ষক।
যে,মাধ্যমিকে ছেলেটিকে সর্বস্ব দিয়ে স্টারমার্কস পাইয়েছে অথচ পারিশ্রমিকের পরোয়া করেননি সেই তো সবুজ প্রান্তরের ভালোবাসার শিক্ষক।
যে এখনো পর্যন্ত নতুন আলোর আশায় ছেলে মেয়েকে পড়াচ্ছেন সেই পিতামাতাই প্রকৃত শিক্ষক।
যে পিতামাতা তার সন্তানকে বলে, "বাবা কোনোদিন কোনো খারাপ কাজ করো না,বিবেক দিয়ে বিবেচনা কর তারাই আসল মেরুদন্ড এবং জাতির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

এই সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য আমার প্রণাম,ভক্তি শ্রদ্ধা।ভালো থাকবেন আপনাদের জন্য‌ই আজ পৃথিবী টা এতো সুন্দর।