ষোলকলা যৌবন নিয়ে
চারদিকে রুপালী  জোছনা ছড়িয়ে
চাঁদটা ফের উঠে একা।
দূর আকাশে জ্বল জ্বল করে জ্বলতে
থাকা ক্ষুদ্র এক তারকা বিন্দু
গুটি গুটি  পা'য় রোজই আগায়,
হবে কি একটু দেখা?
সুউচ্চ সুশীতল মায়াময় গিরি
তোমারই বুকে ক্ষণিকের বসতি,
কত মেঘেরা ঘুমায়, তুষারের ঘাম
গলে অবিরাম, ঝর্ণা হয়ে কত
দ্রুতই না হারায়! দূর দিগন্তে
ভাসতে ভাসতে অবিরাম ছুটে চলে
মনে পড়ে তোমায়, আবার কবে হে
ভূধর, সেদিনের সেই খেলাঘর,কি
প্রশান্তির ঘুম! ঘুমের ঘোরে রাত
কেটে যায়,ইচ্ছে করে ঘুমেই হারায়,
চক্রাকারে খুজে বেড়ায়, ঘুমেই হয়তো
ফিরে পারে, পাবে নাকি একা?
বয় বসন্ত সমীরণ, লেগে চাঁদের কিরণ,
নীল অম্বু মৃদু উছলায়,কি চঞ্চল এই
ভরা বুক!
চঞ্চলতায় গা ভাসিয়ে,অস্তিত্বটা সঙ্গে নিয়ে
অনন্ত কাল ছুটে চলা-
হাজার অণুর অনুরণনে,কত রঙ- বেরঙের ঢেউ  উঠে মনে,
জড়িয়ে তোমার মধু মায়ায়, আজন্ম সাধ আর কি ফুরায়!
মনের সব কথা বলা-
ইচ্ছে করে তোমার সনে, দিন কেটে যাক আপন মনে,
তোমায় খুজি প্রতিক্ষণে,হে নীলাম্বু, তোমাতেই চিরসুখ!
স্বপ্ন সাধ আজ তাড়া করে, আবর্তনের ঘূর্ণি ছেড়ে
তোমার মাঝেই হারাই ফিরে, যুগ হতে যুগ যুগান্তরে,
তোমাকেই খুজে পাই! যৌবনের পরশ মাখা,চির
নির্মল থাকা,সোনালী সেই যাদুর পরশ বারে বারে চাই।
পিয়াসী লোচন চেয়ে রবে অনুক্ষণ, আবার কবে হে হবে দেখা?
দেখা হবে, হবে কি দেখা?