ডাহুকটা ডেকে ডেকে মরুক! তবুও তার কথা
ভাবছি না আর !
আকাশে অশান্ত কাল মেঘ- যেন তার ইয়া বড়
ঝাকড়া-চুলের-মাথা ঝাড়ায় শ্রাবণ-জ্যোৎস্না
সপাটে পড়েছিল বারান্দায়, ডালিমের ফাঁক দিয়ে-
আমার পায়ের কাছে । কেমন যেন মোলায়েম
লোশনের লেপ- স্বপ্নীল হয়ে যায় মুথাঘাস উঠোনের!
বসেছিলেম বারান্দায়- আলো নেভানো ছিল । এক ঝাঁক
রাতের পাখী থেকে থেকে শিস দিয়ে বেশ ওড়ে যাচ্ছিল
ঝাউ'এর পাশ কেটে । হঠাৎ বিজলী যেতেই গোল বাঁধে;
তা শুনতে পেয়েই সোজা হয়ে বসি আরাম কেদারায় ।
ওক-লেণ্ড’এর বউ’দি এলেই ক্ষেপায় ; ঘন বর্ষায় এবার
এসে হাজির ; বোধ হয় এ ঋতুটাকে ভাল করে জানার
ছিল বাকী ; এসে দাঁড়ালে আমার পাশে মৃদু পদে ।
ও ঠাকুরপো!-বলে থেমে, বললে- কী ভাব-ভাব কদম্ব-ফুল,
কবি বটে ! কি এ্যাত ভাবা হচ্ছে তবে ?
আমি বলি মৃদু হেসে- কি নয় গো, বলো- কা’কে !
(রচনাকালঃ ২৪-০৭-১৯৯৪।)
.