রৌপ্য-চূর্ণ প্রলেপে যেন নধর কায়
কমনীয় কারুকাজ সমস্ত গায় ;
কুলীন সমুদ্রচর- মৎস সে জাতে ;
রাগিলে যে নিশপিশে ছুঁচাল দাঁতে।
ক্ষিপ্র গতি, সুতীক্ষ্ণ নয়নে সে চায়;
বাঁধিতে তারে জেলে হিমশিম খায়।
ভিটামিন-ডি ধরে সে সূর্য-আলোকে
স্মরে সে- যে মরে, গতযৌবন শোকে।
সুমিষ্ট রসে ভরা অপূর্ব ফাইবার ;
একবার চেখে কী আশ মেটে আর !
বারবার, শতবার স্বাদ জাগে মনে,
শোধিত তেলে ভেজে জিভে দিই এনে।
বাজারে মহার্ঘ সে- কে.জি. চারি শত;
ভাবি তারে কিনি, বেচে ঘটিবাটি যত ।
চক্রবৎ করে কাটা, দেখিয়া ত্বরিৎ
রূপের রানী ভাবে- ভরি আঁখিপাত।
অপূর্ব রূপে প্রেমী ব্যর্থপ্রেম ভুলে,
রসনা তৃপ্ত করে ‘কাঁচা’ মুখে তোলে!
রূপে-গন্ধে পেট ভরে যে তারে রাঁধে;
না পেয়ে বেড়াল শুধু বসে বসে কাঁদে।
এত গুণ তবুও যে উদরে না পুরে
বিফল থাকাটা তার সমুদ্র তীরে।
(রচনাকালঃ ১৩-০৭-২০১৭ ।)
______________________
* সীর বা কিং-মেকার্যেল (ইংরেজি) মাছই
তামিল ভাষায় বঞ্জরম মীন ।
** কাব্য: শ্যমলী মায়ের কোলে ;
গ্রন্থ: তুমি এলে বলে ;
কপিরাইটস্ : © ২০২০ পিসি ।