এমনি করে দুপুরটা যায় যাক না-
বসে বসে আরাম কেদারায় সময়
কাটছিল না মন্দ ।
ঝিমুনির মুখেই দেখা কবিতার-
প্যাণ্ট-শার্ট আর বয়কাট্ চুলে ।
অবাক কর্লে- চেনা যখন বল্লে
অচেনার ভঙ্গিতে, ''আসতে পারি ?''
'বিলক্ষণ '- বল্লাম আমি, এক ব্যর্থ কবি ;
তারপর, পড়ে যাই হাজার বছরের
কী এক নস্টালজিয়ায়-
এ মেয়ে তো মেয়ে নয় কবিতা নিশ্চয় !
সাহিত্য সম্মেলনের পর গুণীজনের
ঢল নেমেছিল রাস্তায় ;
অবস্থা দেখে, ভারত চন্দ্র মুচকি হেসে
বারোটা বাজিয়ে যেতেই এলেন এক বাউল কবি
দ্বিধাগ্রস্থ- লাবণ্য না কে-টি ?
তার পর বিষন্ন জীবনানন্দকে (ট্রামের খিড়কিতে)
দেখতেই কানেকশন মিলে যায় ;
বলে উঠি- এতকাল ছিলে কোথা ?
'আমি রে ইন্সটিটিউটে পড়ে এস্ছি, জানই তো-
তাছাড়া কথাটা বনলতার । '
খোঁটাও দিলে- লজ্জাও দিলে । আমি ক্ষেপে
গিয়ে বলি, ''তুমি পথ হারাইয়াছ ।''
'এটা কপালকুণ্ডলার সাজে'- বলে সে
হেসে, এক যুবার হাত ধরে চলে যায় সোজা
টিভির পর্দায় ।
অকস্মাৎ আলোর ঝলকানিতে
যখন আমার চোখ খুলে
মনে হ'ল, সে-ই আমাকে বোঝালে
কিছু না বলে,
সময় নষ্ট করার সময় নেই, ওর !