কবি তখন মৃত্যু-শয্যায়- ব্রেণ ডেড !
মাথার মৃত্যু হলে কিন্তু বাঁচার কিছু থাকে না ;
তবে, বেঁচে থাকতে পারে- চক্ষু, বৃক্ক, যকৃৎ,
ফুসফুস, হৃদয় এবং আরও কিছু অঙ্গ সুনিশ্চিত ।
অস্ত্রপ্রচার ঠিকঠাক হলে কবির চোখ দিয়ে
কেউ দেখতে পাবে জগৎটাকে ;
পাচন থেকে শুরু করে- শুদ্ধ করা যাবে
আবার সমস্ত দেহ ; মুমূর্ষুও বেঁচে উঠবে-
মৃত্যুর বুকে সুড়সুড়ি দিয়ে ।
ঘটেছিল সেদিন এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ;
কমা’য় যাওয়ার সামান্য আগে,
ধৈর্যের চূড়ান্তে পৌঁছে, কবি নিজে-
গিয়েছিলেন অঙ্গদানের অঙ্গীকারে ;
তবুও ঘরের লোক অনেক কেঁদে-কেঁটে
কষ্ট অনেক মাথায় নিয়ে,
সম্মতি দিলো অঙ্গচ্ছেদে ।
কী একটা থমথমে মৃত্যু-ভার ছিল সে দিন
সমস্ত আইসিইউ জুড়ে ! ত্বরা করি ওরা
নিষ্ঠার হাত বাড়ালো কাজে ।
চক্ষু, বৃক্ক ও যকৃতের কাজ শেষ হল
অতি সত্বর ; কিন্তু-
অগণন দু:খের সাক্ষী যে-
সেই হৃতপিণ্ডের গ্রহীতা পাওয়া গেলো না-
আর ফুসফুসটাও রইলো তেমনি !
কবির রক্ত সিঞ্চনের কাজ তখনও চলছে-
সম-ব্যাথী ফুসফুস থেকে একটা দীর্ঘ-শ্বাস পড়ে-
দেহ শীতল হওয়ার সামান্য কিছু আগে-
যখন মর্গের থার্মোমিটার জানালো-
একটা যুগের শীতলতম দিন-
তার ডিজিটাল ডায়েলে !
(রচনাকালঃ ২৪-১১-২০১৬
ও ০৫-০২-২০১৭ ।)