অনেক দিন আগের কথা,
গল্পের মত শোনালেও ঠিক গল্প নয়।
না বলতে পারা অনেক কথা কবিতা হতে শুরু করেছে।
ঠিক কত গুলো হয়েছিল মনে নেই,
একটা কবিতা পাঠের আসরে বলতে শুরু করেছি আমার কবিতা
“সমঝদার”-প্রথম লাইন টা ছিল – ‘ দশ হাজার কবিতার প্রতিক্ষায় আছি’।
পাঠ শেষে যেই নেমেছি এক জন প্রশ্নই করে ফেললেন,
দাদা কতগু্লো হয়েছে?
তার পর আরও কত বছর কেটে গেছে এখনও লেখা টাকে
আঁকড়ে ধরতে চেয়েছি মাত্র।
না, কবি হওয়া হয়নি।
রায় দা বলে ছিল কঠিন কঠিন শব্দ না লিখলে কবি হওয়া যায় না।
সিংহ, বাঘ, হরিণ লিখবে না, লোকে বুঝুক বা না বুঝুক
লিখবে হর্ষক্ষ, শার্দূল, কুরঙ্গ।
একদম ছন্দ লিখবেনা- তাহলেই পদ্য হয়ে যাবে। মডার্ন আর্টের মত কিছু অসম্পূর্ণ
কঠিন শব্দ পর পর সাজিয়ে দেবে, তবেই কবি হতে পারবে, তুমি কি বলতে ছাইছ
তা যেন কেউ বুঝতে না পারে। পারলেই সোজা, না পারলেই
দারুন! দারুণ!
অভিধান টা মুখস্ত ক্রতেই পারছিনা। কবি হওয়া হল না বোধ হয়।