আজ তোমায় ৩৫ তম চিঠি লিখছি তমনাশ।
হ্যাঁ ৯ মাস ধরে তোমায় চিঠি লিখে চলেছি।
তোমার কোন উত্তর পাইনি।
তোমার এই ঠিকানাটা ছাড়া তোমাকে খুঁজে পাওয়ার
আর কোন উপায় আমার কাছে আজও নেই।
মনে পড়ে , সেই শীতের কুয়াশা ভরা সকালে
তুমি আর আমি বন-বিতানে হাঁটছিলাম।
তুমি আমায় জড়িয়ে ধরেছিলে, বলেছিলে একটু উষ্ণতা দিতে পারোনা কি এই শীতে?
তোমার ফোন নাম্বার চাইতে তুমি আমায় তোমার ঠিকানা দিলে।
আমি বললাম নাম্বার দাও।
তুমি খুব সুন্দর করে বললে, হারিয়ে গেলে চিঠি লিখো।
তাতে তোমার স্পর্শ পাবো, তোমার শরীরের ঘ্রান লেগে থাকবে।
তখন বুঝিনি তুমি হারিয়ে যাওয়ার জন্যেই ঠিকানা দিয়েছিলে।
তবু চিঠি লিখছি। গ্রীষ্মের পড়ন্ত বিকেলে গোধূলির
আলোয় নতুন ভোরের স্বপ্ন নিয়ে তোমায়
চিঠি লিখছি তমনাশ, হয়তো বা শেষ চিঠি।
তুমি যে স্বপ্ন দেখিয়েছলে, যে স্বপ্নের বীজ পুঁতে দিয়েছিলে
সেই বীজ বুকে করে আগলে রেখেছি।
মা , বাবা, বন্ধু বান্ধব সবাই বলেছিল নষ্ট কর,
না হলে তোকে সবাই নষ্ট মেয়ে বলবে।
সেন্ট্রাল এভেনিউ থেকে গড়পাড় রোড, গড়পাড় রোড থেকে আহিরী টোলা,
সেখান থেকে ১২ নং দর্জি পাড়া লেনে উঠে এসেছি।
এই ৯ মাসে ৩ বার বাড়ি বদল করতে হল।
শুধু স্থায়ী ঠিকানার জন্য তোমায় চিঠি লিখছি।
হয়তো বা শেষ চিঠি। না আত্মহত্যা আমি করছি না।
তোমার সন্তান কে তম নাশ করে ভোরের আলো দেখাবই।