গ্রীষ্মের দাবদাহে আকুল তৃষ্ণায় পুকুরের
জল ছুঁতে চাইছে তৃষ্ণার্ত এক পাদপ ।
তার এই চাওয়া কেউ কি বুঝতে পারে !
চাতক পাখির বাড়ি যাচনা তোমরা কি
কেউ কখনো দেখেছ ? শুনেছ কি তার কণ্ঠস্বর ?
আমি শুনিনি ।
কিন্তু সেদিন এক বিশাল বৃক্ষের জলের
কাছে এসেও জল কে ছুঁতে না পারার বেদনা অনুভব করলাম ।
বিশাল এক বৃক্ষ যার শাখা প্রশাখা গুলো বিশালআকায় ডায়নোসরের মত ।
এমনই একটি শাখা নুইয়ে পড়েছে পুকুরের মধ্যে-
কিন্তু জল কে স্পর্শ করতে পারছে না ।
এক গ্লাস জল চুমুক দিয়ে খাওয়ার ক্যেক মুহূর্ত আগে
ঠোঁটের সাথে গ্লাসের যেমন দূরত্ব থাকে তার তখন ঠিক
তেমন অবস্তা ।
আমি গাছটির দিকে তাকিয়ে বসে আছি , আর তন্ময় হয়ে ভাবছি…।
এমন সময় মনে হল গাছটি যেন আমায় বলছে –
হে তরুণ পান্থ আমার তৃষ্ণা নিবারন কর , আমায় জল পান করাও ।
কিন্তু বিজ্ঞান মনস্ক কঠিন কঠোর মানুষ আমি ।
আমি কি কখন ও এভাবে গাছ কে জল পান করাতে পারবো ?
হে মহীরুহ ; তুমি এত বিশাল হয়েও কখন ও পারবে নিজেই নিজের
ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে ?
নাকি এভাবেই ডেকে যাবে তোমার সামনে বসে থাকা মানুষদের ।
তারা কি তোমার ডাক শুনতে পাবে ?
নাকি তারাও আমারই মত নির্বাক ও বধির হয়ে তোমার
পানে কেবলই চেয়ে থাকবে নিথর দৃষ্টি দিয়ে ।
বি দ্র ঃ আজ বিশ্ব কবিতা দিবস।