ছেলেটা বেশ গরিব ছিল।
বুকের মধ্যে ধুকপুকানি থমকে ছিল।
সবাই যখন বিকেল হলে স্কুল ব্যাগটা ছুঁড়ে ফেলে
হরেক রকম খেলায় মজে,
সেই ছেলেটা বিকেল হলে ঘাসের ওপর শরীর মেলে
নীল আকাশে স্বপ্ন খোঁজে।
কোথায় পাবে কাঁচের গুলি? লাটাই,ঘুড়ি,রঙ আর তুলি ?
চটপটি আর বুড়ির চুল।
বায়না গুলো জমিয়ে রেখে ইচ্ছে গুলো দমিয়ে রেখে
বুকের মধ্যে আঁকত আকাশফুল।
ঝিলিক তখন পনেরো-ষোল, স্বপ্ন দেখার ইচ্ছে হোল,
মনের মধ্যে হাজার জোনাকি।
ছুটির পরে বিকেল হলে, সূর্য যখন পড়ত ঢলে,
মেঘের মধ্যে খুঁজত কত-কি!
মা ডাকত ঝিলিক সোনা, শেষ হল-কি স্বপ্ন বোনা?
ফার্স্ট হবিনা?পড়াশুনো চুলোয় দিবি?
মেঘের মধ্যে আগুন ছিল, নৌকা, মাঝি, হাজার রকম ভাবনা ছিল।
সেই ছেলেটা বলেছিল বন্ধু হবি?
ঝিলের মাঠের শেষ প্রান্তে দৌড়ে যেত, হাঁপিয়ে যখন একসা হোত।
রাঙিয়ে যেত অস্তাচলের রবি।
সেই রকমই এক বিকেল বেলা, শেষ করে ঢিল ছোঁড়ার খেলা
বলেছিল ভালবাসবি? বন্ধু হবি?
মা বলল পুড়বি নাকি? মুখপোড়া টার আছে টা কি?
মিত্তিরদের তেলের ঘানি , সাত মহলা বাড়ি।
সেই বাড়িতেই ঠাই হয়নি, আঁটকুড়ীর রাত ভোর হয়নি,
পুড়ছি আমি পুড়ল মাগো আমার প্রথম শাড়ি।