ঘরে আছি বন্দি
স্ত্রীর সাথে সন্ধি,
দুই বেলা আহারে
খাবারের বাহারে।
ট্যাঁকে টান পড়ছে
মাথা খানা ঘুরছে।
গিয়ে দেখি বাজারে
যাই পড়ে নজরে,
ছোঁয়া কিছু যায়না
তবু আছে বায়না।
মাংসের কিমা চাই
মুরগির ঠ্যাং চাই,
চিংড়িটা যদি পাও
নিয়ে এসো কাতলাও।
চানাচুর ,চিপস টা
ভালোবাসে মেয়ে টা।
আর দেখো কি পাবে?
নিয়ে এসো যা খাবে।
যেদিকে তাকাই ভাই
গোল গোল চড়কাই!
বামে আর ডাইনে
মাস্ক পরা লাইনে,
লাইন ফুরালে আর
হাতে কিছু পাইনে।
ঘুরে চার বাজারে
দিয়ে দুই হাজারে,
ব্যাগে কিছু ভরেছি
বেঁচে ঘরে ফিরেছি।
ধ্যান দিই খবরে
ডাক পরে সজোরে।
দুরছাই ক রো না
টিভি তাকে ছাড়োনা।
মাংসে যে দই লাগে
তাও বুঝি জান না?
দেখ দেখি ঝক্কি
ছাড়বে না শোক কি!
দই ছাড়া মাংস টা
হবে নাগো লক্ষ্মী।
গিন্নিকে ভাবছ একেবারে মুখ্যু
ক রো নার জন্য নেই কোন দুঃখু।
আমিও মাঝে মাঝে
খবরে তে মন দি,
তাইতো এঁটেছি এক
কি ভীষণ ফন্দি।
যদি চাও নিস্তার
হাত ধোও বারবার।
সেই মত ভেবেছি
কত কিছু রেঁধেছি।
ক রো না কে হারাতে
প্যাঁচ খানা কষেছি।
জিভে নিতে সারাদিন
রান্নার স্বাদ-টি,
যত বার খাবে তুমি
ধুতে হবে হাত-টি।