আমারতো ছিল একখানা বাড়ি, নোনাধরা দেওয়ালটা তার,
জানো বর্ষায় কেটেছে কত বিনিদ্র রাত আকছার।
শীতকালে ফুরফুরে হাওয়া ছুঁয়ে যেত গা,
তবুও একান্ত আমার আর কারো না।
আজকাল ফ্ল্যাটে থাকি, নিজেকে গুটিয়ে রাখি,
জ্যোৎস্নার চাঁদ বার বার দিয়ে যায় ফাঁকি।
এইভাবে হয়তো বা কেটে যাবে!
কাঠবিড়ালি টা পাশে থাকে, থেকে যাবে।
গীটারের টানটান তার কি জানি আছে নাকি গেছে!
প্রিয়তমা কবিতার খাতা কবে থেকে বন্ধ, বন্ধই আছে।
বেল গাছে , বট গাছে ফিঙে কি শালিক…
আরও একটু বুক ভরে শ্বাস নিক।
আমি তো ওদের-ই মত খুঁজেছি শুধু একখানা বাসা,
বড় নয়, সাদামাটা, বাবুই পাখির মত খাসা।
উঠানেতে বিকেলের চা দোলনায় দুলে দুলে,
ঘাসের সবুজ গালিচা আর
একটা বাগান ভরা ফুলে ফুলে।
চোখ দুটো পেতো সুখ এতটুকু পেলে।