কতই বা আর? তা প্রায় বছর বিশেক হয়ে গেল পার-
কত কথা মনে রাখা, কত কথা ব্যাকুলতা
কিছু কথা ভুলে যাওয়ার নিদারুন ব্যর্থতা।
কলেজ কামাই; মিস্ত্রিঘাটের থেকে নৌকায় দু’জনায় ছিল মাঝ গঙ্গায়,
পিছু ডাক ডাকেনি, এ তনু নশ্বরী-
নতজানু করজোড়ে নিজেকে দিল সঁপে, হেঁ জগৎ আধিশ্বরী।
কপোতাক্ষের পাড়ে, ভাগীরথীর তীরে, শিবালিকা নদীর চরায়
শান্ত বিকালে বুকের মাঝামাঝি, প্রথম প্রেমের আনাগোনা
বিরহের সাথে কারই বা ছিল জানাশোনা!
রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজেছিল দুজনাতে, সস্তার রেঁস্তোরা, রাজকীয় হাবভাব
নিরালা কেবিন ঘরে, প্রেয়সীর কপট তপ্ত অভিমান, শুষে নিত প্রান ভরে।
নির্জন নদীঘাটে, কুসুমিত ছাতিম তলে;
আর্দির পাঞ্জাবী, দামী সিগারেট, নিচেতে জিন্স আর হাতে চকোলেট,
প্রেয়সীর শিফ্নশড়ী আর ছিল হাত ঘড়ি, ব্লাউজ ছিল দামী জর্জেট।
চোখেতে চোখ রাখা, হাত ধরে বসে থাকা-
সে প্রথম হাত ধরা আঁচলেতে ঢাকা, সেই প্রথম কাঁধে মাথা রাখা।
6’রিভার সাইড রোড ক্যাম্পাসে, পুকুর ধারের পোড়ো বাড়ি-
সন্ধ্যা শেষের তমসাচ্ছন্নতা, ব্লাউজের নীচে কিছু উত্তপ্ত কোমলতা;
নিঃশ্বাসের ঘনঘটা, তড়িঘড়ি আশা যাওয়া
সম্বিৎ ফিরিয়েদিল, কোথা হতে হঠাৎ এসে, বসন্তে ফাগুন হাওয়া।
বিশটা, বিষের বছর পার হয়ে গেল, কেমন আছো?
তোমায় ভুলে গেছি, তবুও তুমি মনে থেকে গেছো;
মাঝে মাঝে ভাবি ব্যর্থই কি সবই!
ঠিক যেন হারানো সুরে, কে যেন গো ডাকে দূরে-
ছিলাম নীরবে আনমনে, আপন গৃহকোণে
সুখস্মৃতি সবই ফাঁকি, হেলায় সরায়ে রাখি।
হৃদয়ের বেদনায়, শূন্য বিছানায়- জীবনের পথ চলা, আলুথালু বেশবাস;
পুরুষের ছায়া আজ, ব্যঙ্গভরে তাকেই করে উপহাস।