ওরা এখন দুপায়ে হাঁটে, কালের সাহায্যে
বাঁকা লেজ খসিয়ে ফেলেছে অনেক আগেই।
ওদের এখন জাতটাই ভিন্ন হয়ে গেছে;
সম্পৃক্ত শঙ্কর...
এখন ওরা আর মলোমাস বা ভাদ্রমাস মানে না।
কাল সারারাত শ্রীতমার ফেলে যাওয়া সেইসব-
স্মৃতিগুলোকে মেপেছি, দুঃখ বিলাসিতার ঘনঘটায়,
আগের মতই
স্মৃতির পরিমাপ গুলো একদম স্বমহিমার ভাস্বর।
কাল সারারাতে পর্পর্ খালি করা দেশি-বিদেশি
বিলাসী বোতলগুলো ;
সারাটা ঘরময় বিক্ষিপ্তভাবে শুয়ে আছে,
বিকলাঙ্গ শারীরিক প্রতিবন্দীদের মত।
খালি মদের বোতলগুলো প্রমান করে আমি মাতাল...
শ্রীতমা,
চলে গিয়ে প্রমান করেছে, আমি বড্ড সেকেলে।
গগনভেদী বাড়ি আর মার্সিডীজ্ গাড়ী, এবং
অনেকগুলো উপপত্নী আছে, তার স্বামীর।
শ্রীতমারও আছে-
বাগদাদের বাদ্শার মত বাদ্শাহী ও ব্যাক্তিগত হারেম।
ওর স্বামীও জানে হয়ত! হ্যাঁ জানে বই কি! নইলে তো...
না! সত্যি আমি বড্ড সেকেলে-
এখন তো শ্রীতমা শ্রেণীর লোকেদের কাছে এটাই
আধুনিকতা।
এটাই দস্তুর, এটাই রীতিনীতি, এটাই সভ্যতা ও অগ্রগতি।
এটাই এখন culture of high society.
আমাদের সমাজের শ্রীতমারা এখন আর
আড়াল আবডাল, ঘরে বাইরে, শিশু বৃদ্ধ, চক্ষুলজ্জা
এসবের তোয়াক্কা করেনা।
না! ওরা আর, মলোমাস বা ভাদ্রমাস বলে কিছুই মানে না।।