আকাশটা আজ বড্ড বেশি ক্যাটক্যেটে
আমার ছবির ক্যানভাস-
আর তার প্রথম পাতা ভীষণতর ফ্যাকাশে।
ছবি আঁকবো রং কোথায়, রং চাই, রং রং, হরেক রং।
দুধের শিশুর মাথা ভেঙে ঘিলু মাখা রক্ত নেব,
তাতে লাল রং আছে।
গর্ভবতী নারীর পেট চিরে-
ভ্রুন এনে জ্জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে বানাব কালো।
জমিয়ে রেখে মুত্র থেকে নেব হলুদ।
বন্দি সৈনিকের পিত্তথলি নিংড়ে নিয়ে নেব সবুজ।
সাপের বিষ-
ইঞ্জেক্ট করে শরীর বিষিয়ে গেলে, নীল রং পাবো সেখানে।
আমার বীর্য থেকে নিয়ে নেব সাদা।
ধেয়ে আসা বোমারু ড্রোন, আমার রংগুলোকে করবে চিরস্থায়ী।
বুলেটের খালি খোলে, আসন্ন প্রসবার গোপন কেশরাশি-
এভাবেই তৈরী হবে আমার ইজেল তুলি।
সদ্য কিশোরীর শরীরের ক্যানভাসে...
হে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, হে ভ্যান গঘ, কেউ তো বলে দাও
আহত শিশুর চিৎকার, সন্তান হারা মায়ের হাহাকার আর
ক্ষুদার্থ পেটের জ্বালা, জীবনের তাড়নায় বিকোতে
চাওয়া শরীর থেকে, আমার ধর্ষকামী শীশ্ন থেকে,
কি কি রং পাবো আর?
রোজ দেখি! রোজ! অভাব, যন্ত্রনা, ও মৃত্যুর সাথে,
জীবন্ত মানুষ কেমন অবৈধ লিভ-ইন কোরে চলে।
কোন প্রতিবাদ চলবেনা। শুধু সহ্য করে চলো মুখ বুজে;
নইলে পুলিশ-
ভালোবেসে কাঁচা খিস্তি করে, তুলে নিয়ে যায়-
চতুস্পদী বোকা** বোলে, চলে মামাবাড়ির জামাই আদর।
পুলিশি অত্যাচারের ভয়ে জড়িত থাকার, কেউ নিল না ভার-
একা মলয়, আর হাতে গোনা কিছু, এর পর এল, সেই কালো
১৯৬৫ হায়!
এখানে এভাবেই হাংরি আন্দোলন, শেষ হয়ে যায়।।