দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফেরে,     কর্মপ্রার্থী বেকার যুবক,
           দুদন্ড শান্তির দূত, প্রেমময়ী নারীর উপচিকির্সা
  হঠাৎ অনুভব করে যুবক, তার কিডনি গেছে খোয়া।
চিড় চিড় শব্দ করে ঘুন পোকারা খেয়ে চলে মেরুদন্ডটা,
        তারপর ক্রমে একদিন ভেঙে যায় সমাজের গাছ।


গোপনে নিভৃতে যে কিশোর কিশোরী সেরে নিয়েছে বাগদান
                  পরিহাস করে বিধাতার হাসি, কিশোর হয়ে যাবে-
                     বেওয়ারিশ লাশ, কিশোরী হবে বনিতালয় বাসী।
ঠক ঠক ঠক শব্দ করে কাঠঠোকরাগুলো খেয়ে চলে মেরুদন্ডটা,
                   তারপর ক্রমে একদিন ভেঙে যায় সমাজের গাছ।



         চারপাশে কত পচা গলা লাশ,   দেখি চলে ফেরে,
            তাদের মধ্যে খুঁজে ফিরি নিজেকে, বৃথাই অন্বেষণ-
  তাহলে আয়নায় রোজ যে শ্বাপদের মুখ দেখি সে তবে কে?
তীব্র ব্যঙ্গ করে শিয়াল শকুনেরা কামড়ে খেয়ে চলে মেরুদন্ডটা,
                 তারপর ক্রমে একদিন ভেঙে যায় সমাজের গাছ।