ন্যুঁয়ে পড়া বাঁশগাছের ডগাগুলো ছুঁতে চাইছে মাটির বুক,
গাছের পাতার
ফাঁক দিয়ে সূর্যের শেষ কিরণমালা ক্রমে নিঃশ্বেষ হয়ে আসছে,
ধীরে ধীরে।
হঠাৎ করে, কবিতা কিরণের খাতা বন্ধ দিয়ে ঝুপ করে ডুবে যেতে চায়,
রবি ঠাকুর।
গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে তুলসীতলায় এক এক করে জ্জ্বলে ওঠে;
সাঁঝ দিয়া।
দূরে কোথায় যেন তারস্বরে অবিরত ডেকে চলে মাতৃ হারা,
শৃগাল শিশুরা।
সদ্য ঘরে ফেরা পাখিদের কিঁচির মিঁচিরে কান পাতা দায়-
ভরা সন্ধ্যায়।
কৃষকের দল ক্লান্তদেহে কাঁদা মেখে ফিরছে আপন অঙ্গনে, আর
গরুবাছুর গোয়ালে।
ঘর ছেড়ে বেরোবার উপক্রম, যত আছে নিশাচর চামচিকি,
প্যাঁচা, জোঁনাকি।
সফেন ঊর্মি মুখর নদীর ঢেউগুলোর সশব্দ আস্ফালন ক্রমে তীব্রতর
হতে থাকে।
নিভৃত জ্যোৎস্নায়, আমি বসে আছি ঠায়, কখন যে শ্রীরাধা,অভিসারে
আসবে যমুনায়।