হৃদয়ের ব্যাপক ভাংচুরের পর
অজান্তেই এলোমেলো দখিনা বাতাসের উপস্থিতি,
এক স্নিগ্ধ, শান্ত আর মোহনীয় সৌন্দর্যের রমনী
আমার দরজায় কড়া নাড়লো;
আমার শরীর হিম হয়ে এলো,
হৃদয়ে এলোপাতাড়ি ঝড় বয়ে গেলো,
আহৃত ডাহুকেরা বারংবার কিচিরমিচির করলো
অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে স্বাগত জানালো উঞ্চতাকে,
কে গো তুমি?
এতো এতো শীত চলে গেলো তুমি কোথায় ছিলে?
ফুল ফুটেছে, পাখি গেয়েছে, ছায়ানট হেসেছে
কিন্তু বসন্ত হয়ে আসোনি কেন আমার জীবনে?
আমি তো প্রতিটি শীতের শেষে তোমার অপেক্ষায় থেকেছি,
তোমার পথ চেয়ে থাকতে থাকতে আমার শরীর হিম হয়েছে,
বিটপী তার সব পত্র ত্যাগ করেছে কিন্তু তুমি আসোনি!
তুমি এলে আমার উনত্রিশতম বসন্তে।
আমাকে আটাশ বার হতাশ করেছো
তোমার সাথে আমার আড়ি,
আমার বড্ড অভিমান তোমার প্রতি।।
এই শুনো না,
একটা প্রশ্ন করি? উত্তর দেবে তো?
তুমি আমাকে এক আলোকবর্ষ দূরে রেখেছো,
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের সমান দূরত্ব
কখনো কি ভাবোনি;
তোমার জন্য একটা হৃদয় শীতল হচ্ছে কি-না?
বুকের বাঁ পাশটা জমে যাচ্ছে কি-না?
সহস্র বিকেল সন্ধ্যায় গড়িয়ে যাচ্ছে কি-না?
দুটি চোঁখ অশ্রুতে টলটল করছে কি-না?
এতো দেরী করলে কেন? বলো-