ছোট্ট একটা ছেলে ছিল
নাম ছিলি তার সিড়ি,
সুযোগ পেলেই করতো ছেলে
সবার ঘরে চুরি।

চুরি করতে গিয়ে ছেলে
মনে মনে ভাবে,
কোনটা রেখে কোনটা আমি
করবো চুরি আগে।

ঘরের মেঝেতে ছাগল বাধা
গোয়াল ঘরে গরু,
ভাবছে ছেলে কি দিয়ে আজ
করবো চুরি শুরু।

এক ঘরেতে মুরগি আছে
অন্য ঘরে হাঁস,
ধরা যদি আজ পড়ি আমি
ভাঙবে পিঠে বাঁশ।

এই না বলে গেল ছেলে
ওইনা রান্না ঘরে,
দেখলো ছেলে রান্না ঘরে
কে যেন আছে পড়ে।

হঠাৎ দেখে এক বৃদ্ধ বুড়ি
কাপে থরথরিয়ে,
হঠাৎ বুড়ি চিৎকার করে
বলে ঘরে কেরে।

তাড়াতাড়ি হায় ছেলে তখন
বুড়ির কাছে গেল,
মুখে তাহার মুখুশ দিয়ে
বন্ধ করে দিল।

বুড়ি তখন সেই ছেলেকে
করে নিলো সন্দ,
দেখতে তাকে পায়নি বুড়ি
সেজে ছিল অন্ধ।

ছাগল গরু হাঁস মুরগি
কি নিবে সে আগে,
ইচ্ছে করে সবগুলো নিই
মনে স্বাদ যে জাগে।

এদিক ওদিক চেয়ে ছেলে
থরথরিয়ে কাপে,
করবো চুরি থামবো না আজ
কাটে না যেন সাপে।

এইনা বলে ছেলে তখন
গেল গোয়াল ঘরে,
গরু আজ করবো চুরি
যাই যদি ও মরে।

গরুর মুখে মুখুশ দিল
দাড়ি ধরলো হাতে।
ধিরে ধিরে গরু নিয়ে
ফিরলো বাড়ি রাতে,


সকাল বেলা গরুটাকে
গোসল করালো ঘাটে।
ভাবলো ছেলে এই গরুটা
বিক্রি করবো নিম তলার গো হাটে,


আবার ছেলে করলো চুরি
সেই লোকেরি বাড়ি,
মনে মনে ভাবলো ছেলে
ঠিক হবে কি বাড়া বাড়ি।

অনেক গুলো হাঁস-মুরগী
করলো ছেলে চুরি,
কেমন করে বেচবো আমি
যদি ধরা পড়ি।

মনের খুশিতে চুরি করে
ছেলে বারে বার,
ছাগল চুরি করতে গিয়ে
পড়লো ধরা এবার।

কি হল ধরা পড়ার পর?

চুরি করতে গেল ছেলে
পাশের বাড়ি ছাগল,
পড়লো ধরা ছেলে তখন
বললো সবাই পাগল।


ছাগল নিয়ে যায় পালিয়ে
সবাই তাড়া করে,
ভাবছে ছেলে পড়লে ধরা
যাবো আজকে মরে।

সবাই তাকে বলে দাড়া
করবো তোকে ঠান্ডা,
হাতের কাছে পায় একবার
মারবো কষে ডান্ডা।

গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে
পড়লো ছেলে ধরা,
এমন মার মারলো তাকে
হয়ে গেল আধ মরা।

মার খেয়ে হায় অবশেষে
ছাড়লো চুরি ছেলে,
সব কিছু আজ ভুলে ছেলে
ভর্তি হলো স্কুলে।

স্কুলেতে পড়ে ছেলে
গোল্ডেন প্লাস পেল,
সবাই বলে দুষ্টু মিষ্টি ছেলে তুমি
তুমি অনেক ভালো।

ভালো মানুষ কে সবাই
ভালবাসে,
কিন্তু চোরদের
সবাই ঘৃনা করে।