দেখতে তখন কয়েদির মতো, ছিল আমার পোশাক
সেদিনের কারামুক্তির পর;
সে দিয়েছিলে কয়েদি থেকে সাধারণ মেয়ের রুপ
একটি সাদা পোশাকে।
হঠাৎ যে পোশাকে দেখলে আমায় মনে হত
বিবাহের প্রস্তুতি নিয়ে কোনো গির্জায়
খ্রিষ্টান বালিকা,
পরিচিত মানুষের সম্মুখে..
যে পরিচিত মানুষ আজ অনেক দূরে
যুদ্ধের পোশাকে দাড়িয়েছে।
আজ সাদা পোশাক তেমন অর্থ রাখে না আর;
যখন হঠাৎ চোখ আটকে যায় প্রতিবেশি জানালায়--
দেখি নতুন ঘরে আনা মেয়েকে
আরও নতুন শাড়িতে ঢেকে দিতে চায়ছে
তার আদরের গৃহস্বামি;
নিজেকে এত ভারি পোশাকেও নগ্ন মনে হয়,
তাদের দামী পোশাক দেখে।
পোশাক আমারও কমদামী নয়;
বুঝতে পারি দামী প্রচার করার মতো
পরিচিত চোখ নেই আমার কাছে।
আজ বাকি সব পোশাকের তিক্ষ্ণ রঙের উজ্জ্বলতা
ভয় দেখায় আমাকে;
বিবর্ণ ক'রে দিয়ে যায় সাদা পোশাকের সৌখিনতা,
রঙিন জগৎ থেকে ঠেলে দেয় আমাকে
সাদা কালোর জগৎে।
যেখান থেকে তাদের পোশাকের এক একটি রঙ
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অর্থ প্রচার করে,
আমার কাছে সব রঙের অর্থ একই
'তাদের পূর্ণ সংসার'..
রঙের অর্থ বহন করে
চেনা মানুষের ভরপুর আদর তার পোশাকের উপর
আর পোশাকের গভীরেও।
যে রং ধ'রে রাখতে
কপালে মুঠোভরে সিঁদুর মেখেছি;
পায়ের মুছে যাওয়া রঙে বারবার ঢেলেছি
আলতা রং;
হাতে সাজিয়েছি দামী নক্সার মেহেন্দি;
তবু আজ
পোশাকের সাদা রঙ
আমার অর্থ প্রচার করে রঙের শহরে
'নির্জন বিধবার রুপ...'