দীর্ঘ অন্তর্জলির পরও আজ মৃতদেহ আসে নিকটে
অজাতশ্মশ্রু মুখের জিজ্ঞাসা আনে জাগরণের মন্ত্র
অনুগ্র মুখ কেউ শান্ত করতে পারেনি কোনোকালে
পারেনা অজাতশত্রুর ঘরে কোনো শত্রুর ষড়যন্ত্র;
শান্ত করতে গিয়ে বহূকাল আগে এক নীরব সন্ধ্যায়,
ঊর্ধূ চারুকথা শোনায় হাতে হাত রেখে চতুর বনিক;
ব্রতের রমনি ঘুম ভেঙে দেখে বানিজ্য হয়েছে শুরু-
বিরহে নয় বিদ্রোহে উত্তরে ছোটে জগৎের অনীক
জগৎের সমস্ত উত্তর চাঁপা পরে কাফনের অন্তরে।
শুধু প্রশ্ন থেকে যায়- '' কবে ফিরছ ঘরে?''
যে প্রশ্নের জবাব ওজরে ভরেছিল পরিচিত ডাকঘরে
চুক্তিপত্র পৌছতে পারেনি অপেক্ষার ঠিকানায়
গালভর্তি নিরাসা কাগজে আর উতড়োতে পারে না,
প্রাণ ভরে নিরুত্তর নির্যাতনের ক্রন্দন শুধু জানায়।
দীর্ঘ শতাব্দীর নিরুত্তরের পর হঠাৎ আজ চুপ তারা!
বুঝিয়ে দিতে চায় যেন নীরবতায় সম্পর্ক পতন,
অপঘাতে সৈনিক একে একে যেভাবে ফুরিয়েছে
নীরবে ফুরোতে থাকে সৈনিকীর সাথে কথোপকথন;
জবাবে বাজে সাইরেন, প্রশ্নের শঙ্খ নিঃশব্দে মরে,
তার শেষ প্রশ্ন মনে থাকে, '' কবে ফিরছ ঘরে?''
জবাব দেওয়া মানুষ সন্ধান করে, ঘরে ঘরে মৃত্যু;
অসুস্থ শিশুর ক্রন্দন শেষ রাতে থেমেছে ধীরে ধীরে;
ইন্ধন ফুরিয়ে আসা দীপ শেষবার জ্বলে নিভে গেছে,
মৎস্যের ক্রন্দন তবু ইঙ্গিতে,বরফ-সমাধির পভীরে;
কিছু কথার নিষ্ঠুর মৃত্যু হারায় কাশ্মিরী বিবরণে-
একবার শোনা যায়- 'সে কেন প্রশ্ন করে না আর?'
জাগরণের যুগে জাগ্রত চোখ লুকায় কোন জৃন্তকে?
দুজন অনূঢ় হৃদয় চুক্তির পর পায় তো শুধু কাঁটাতার
শূন্য ঘর ছাড়া কিছু জোটে না লক্ষ্যহীন যাযাবরে,
আজ আর সে প্রশ্ন করে না- '' কবে ফিরছ ঘরে?''