বংশ থেকে তার দংশন শুরু হয়ে যায়,
জন্মের আগেই ধ্বংসের উপকরনে-
বিষের বৈশাখে; জীবিতদের নিদারূন জীতি,
ভীত সংসার, শিশু রুপে তার নারী গড়নে।
বছর তিন তাকে শাস্তি দেয় দোষের জৈষ্ঠ
আসামি আসে সুস্থ মায়ের স্বাস্থ্য কিনতে
আষাঢ়ে তিন ষাড়ের রক্ত শিশুর দেহে,
বয়স হয় পাঁচ তার অভিভাবক চিনতে।
বছর দুই পরেই সে ঘরোয়া শিশুশ্রমিক
কোনো এক শ্রাবণে পিতার রাবণ রুপ
অন্তর রাখে না কন্যকা ও পণ্যস্ত্রীর,
তার অভদ্রের ভাদ্রমাসে নষ্ট মেয়ে চুপ।
নষ্ট হয় আরও একটি মেয়ের অধিকার
নয় বছরেই দেহে তার এত নখের আঁচড়!
আশ্বিনের শাসনে শোষিত ভঙ্গুর অঙ্গে
এগারোতে চলাচল করে রাতের নিশাচর,
সংসার সাজায় তাকে সং আর শাড়িতে-
কার্তিকেই তার ডাক আসে সংযোগ রাতে
সারামাস অগ্রহায়ন, গ্রহন আর বর্জন,
তেরো বছরের যন্ত্রণা আরেক গর্ভপাতে।
পশুর পৌষমাসে নেশায় নৈশ নায়িকা সে
মধ্যরাতের যাত্রি সাজে নষ্ট চলচ্চিত্রে,
বছর পনেরো পর বাঁচতে চায় পবিত্র জীবন
দর্শনার্থীর ধর্ষক দৃষ্টি তার উলঙ্গ চরিত্রে;
তদন্তের পর দেহে কিছু দন্তের যন্ত্রণা
বাঘের মতো মাঘ মাসে কত নায়িকারা খুন।
যত ষোড়শি নষ্ট হয় রাশি নির্ণয়ে--
দোষ খোঁজে ঋতু-কাল-গণের ফাল্গুন।
মুখ ঢেকে যাওয়া চরিত্রের চৈত্র মাসে
পুরুষ সাজতে পারে, সতেরোর নায়িকারা-
মুখোসে বালিকার আগামী সাবালক মুক্তি
পশুর মতো পুরুষ হতে চায়না তারা...
(নারীবিষয়ক)