কুঠার চলে--
একই পরিচিত, বিতর্কিত গল্পে ছেদনের বর্ণনায়।
সমাজের প্রকাশিত মসৃণ তরতাজা বৃক্ষের বুকে
ধারাল কোপের নতুন ক্ষতচিহ্ন রেখে যেতে।

মুহূর্তে কিছু ছেদনে,
বকফুলের মতো মসৃণ গাছর ত্বক
দারুচিনির বাকল ছিড়ে আসা দেহে পরিণত।
বসন্তের দাগের মতো ক্ষতচিহ্ন ভরে যায়।
হঠাৎ কিছু চিরহরিৎ হেমলক বৃক্ষ,
জারুলের মতো পাতাঝরায় পরিণত।
কিছু শ্বাসমূল দিয়ে সুন্দরীর আর্তনাদ ওঠে,
ঠেসমূলে দাড়িয়ে থাকে অসুস্থ গরানের শরীর।
কিছু বর্জ্রপাতে মৃত নারকেলের মতো...

কুঠার শুধু চিনেছে,
একদিন সেই বৃক্ষের সারিতে ছিল তার শরীর।
কোনো কাঠালের সহজ দেহ কেটে তার হাতল প্রস্তুত;
মাটির গভীর শীতল আরকের ভ্রূণ থেকে--
কাঁচা লোহা তুলে এনে
তার ধারাল অস্ত্রের রূপ দেওয়া...
কুঠারের রচনা।


                 (নারীবিষয়ক)